Saturday, November 30, 2019

অতীতকে ছাপিয়ে যেতে চায় নেপাল কাঠমান্ডুতে উদ্বোধন আজ


অতীতকে ছাপিয়ে যেতে চায় নেপাল
ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির এই মাঠে হবে ক্রিকেট- টুইটার
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এসএ গেমস শুরুর দু'দিন আগেই মহড়া সেরে নেয় নেপাল অলিম্পিক কমিটি। ভলিবল দিয়ে শুরু হলেও ১৩তম সাউথ এশিয়ান গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ। কী কী থাকছে উদ্বোধনীতে, তা নিয়ে মুখে কুলুপ আয়োজকদের। উদ্বোধনীর দিনে সবাইকে চমক দেখানোর জন্যই এই কৌশল নেপালের। তবে আয়োজক-সংশ্নিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে উদ্বোধনীর ভেতরের খবর। জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করে অতীতকে ছাপিয়ে যেতে চায় নেপাল। লেজার শো, কালারফুল ডিসপ্লে, নামিদামি অ্যাথলেটদের মশাল প্রজ্বালন, মাঠে প্রতিটি দেশের নামের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট দেশের মানচিত্রের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা এবং শেষে আতশবাজি পোড়ানো- কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় গেমসের এমন রঙিন উদ্বোধনের আয়োজন করেছে নেপাল। তিন ঘণ্টাব্যাপী জমকালো এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর চৌকস সদস্য ছাড়াও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা থাকছে। বিকেল ৫টায় শুরু হতে যাওয়া অনুষ্ঠানে সাত দেশের হাজার তিনেক ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন মার্চপাস্টে। সেটা পর্যবেক্ষণ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। নেপাল অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট জীবন রাম শ্রেষ্ঠা উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন শিলং ও গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। পারিবারিক সমস্যার কারণে এবার পুলে নামবেন না শিলা।

১৯৮৪ ও ১৯৯৯ সালের পর তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমসের আয়োজন করতে যাচ্ছে নেপাল। স্মরণীয় উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতিই সেরে নিয়েছে আয়োজকরা। শেষ মুহূর্তেও প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিল্পী থেকে শুরু করে কলাকুশলীরা। বিকেল ৫টায় রঙ্গশালায় প্রবেশ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী বান্দারি। এর পরই আসবেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আয়োজক কমিটি তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানাবে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের পর হবে তিন মিনিটের আকর্ষণীয় লেজার শো। উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সদস্য সচিব রমেশ কুমার সিলওয়াল। উপস্থিত থাকবেন ক্রীড়ামন্ত্রী জগৎ বাহাদুর বিশ্বকর্তা সুনার। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী বান্দারির উদ্বোধনী ভাষণের পরেই সাবেক চার তারকা অ্যাথলেট মশাল ব্যাটন নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন। শেষে মশাল প্রজ্বালন করে এসএ গেমসে আলো জ্বালাবেন চারবারের স্বর্ণজয়ী সাবেক তায়কোয়ান্দোকা দীপক বিষ্ঠা। ক্রীড়াবিদদের পক্ষ থেকে শপথবাক্য পাঠ করবেন তারকা ক্রিকেটার পরশ খড়কা এবং কোচদের পক্ষ থেকে রেফারি দীপক থাপা।

এর পরই শুরু হবে মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স। রঙিন আয়োজনে থাকবে ওয়েলকাম নৃত্য। ১২ মিনিট ধরে নেপালের সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ফোর্সেস ও নেপাল পুলিশের এক হাজার চৌকস সেনা সাত দেশের নামের সঙ্গে মাঠেই সংশ্নিষ্ট দেশের মানচিত্র ফুটিয়ে তুলবেন নিজেরা। নেপালের ঐতিহ্যগত নৃত্যও থাকবে। যাকে বলা হবে, মাসকেলেস থিনিক। নেপালের প্রায় সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন সঞ্জীব শিল্পকার। এবারও আয়োজনের বড় অংশটি সাজিয়েছেন তিনি। নেপালের সংস্কৃতির কোনো কিছুই যেন বাদ না পড়ে, সে জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন সঞ্জীব, 'আমরা এসএ গেমসের রঙিন উদ্বোধনের চেষ্টা করছি। তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনের পর দিন আয়োজন সাজাতে হয়েছে। গত কয়েক দিনে শত শত ছাত্রছাত্রীর পারফরম্যান্সের ওপর নজর রাখতে হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতির কোনো কিছুই যেন বাদ না পড়ে, সেদিকে নজর রেখেছি। মোদ্দাকথা, একটি নির্মল বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করব দর্শক এবং আগত ছয় দেশের ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাদের। আশা করি, সবার ভালো লাগবে আমাদের উদ্বোধন অনুষ্ঠান।' মোটকথা, জমকালো উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত নেপাল।সমকাল।

No comments:

Post a Comment