প্রথম
ম্যাচে মন্থর উইকেটে স্পিনারদের ব্যবহার করতে হয়েছে বেশি। পরিস্থিতির
কারণে মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং কোটা পূরণ করা যায়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে তার
উপর দায়িত্ব ছিল বেশি। কিন্তু ধারহীন বোলিংয়ে বাংলাদেশের সেরা পেসার ফেলতে
পারেননি কোনো প্রভাব। তবে বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে করেন, সেরাটা
দেখিয়ে দেওয়ার খুব কাছাকাছি আছেন এই তারকা।
দিল্লিতে
প্রথম ম্যাচে ২ ওভার বল করে ১৫ রান দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। খুব একটা খারাপ বল
করেননি। কিন্তু পরিস্থিতির বিচারে অফ স্পিনার আফিফ হোসেন দারুণ বল করায়
মোস্তাফিজের বাকি ২ ওভার থেকে যায় অব্যবহৃত।
রাজকোটে দ্বিতীয়
ম্যাচে নতুন বলেই শুরু করেছিলেন মোস্তাফিজ। আলগা বল দিয়েছেন সেদিন অনেক
বেশি। আগ্রাসী রোহিত শর্মার সামনে তাকে মনে হয়েছে অসহায়। তার ৩.৫ ওভারেই
ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নিয়ে নেন ৩৫ রান।
আগামীকাল
রবিবার (১০ নভেম্বর) নাগপুরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। মোস্তাফিজ বিবর্ণ
থাকলে বাংলাদেশের সিরিজ জেতা হয়ে যাবে দুরূহ। কোচ অবশ্য মোস্তাফিজকে নিয়ে
কোনো চিন্তার কারণই দেখছেন না, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে
বলেছেন, ‘সে খুবই মানসম্মত বোলার। সে ম্যাচ উইনার এবং আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ
বোলার। আমরা জানি তার সেরা সাফল্য এই এলো বলে। এই সংস্করণে বোলাররা চাপে
থাকে, বিশেষ করে ভালো উইকেটে যদি বল ভিজে গিয়ে ভারী হয়ে যায় আর ব্যাটসম্যান
হয় টপ কোয়ালিটির কেউ।’
দ্বিতীয়
ম্যাচে শফিউল ইসলামও ভালো করতে পারেননি। দলের তিন পেসারের মধ্যে আল-আমিন
হোসেন ছিলেন কিছুটা ভালো। উইকেটের কারণেই এমনটা হয়েছে জানিয়ে কোচ তাদের
নিয়েও কোনো সমস্যা দেখছেন না, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে ভালো বল করেছিলাম।
দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটে একজন সেরা ব্যাটসম্যানের সামনে
পড়েছিলাম আমরা। টি-টোয়েন্টিতে এটা হতেই পারে। কাজেই পেস আক্রমণ নিয়ে
উদ্বেগের কিছু নেই।’
No comments:
Post a Comment