Saturday, November 30, 2019

গিনেস বুকে তিন তরুণের রেকর্ড

গিনেস বুকে তিন তরুণের রেকর্ড



৫০ টাকা খরচ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখেয়েছেন নোয়াখালীর কনক কর্মকার। পাঁচটি রেকর্ড গড়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া এই তরুণ এখনও আছেন পড়াশোনায়। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পাওয়ার টেকনোলজি বিষয়ে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন কনক। ১৭ বছর বয়সে মাগুরার মাহমুদুল হাসান ফয়সাল দু'বার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়ে সাড়া ফেলে দেন। গত বছর ফ্রি স্টাইল আর্মরোলিংয়ের পর এ বছর বাস্কেট বল ফ্রি স্টাইল আর্মরোলিংয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেয়েছেন ফয়সাল। বগুড়ার আব্দুল হালিম পরপর তিনটি রেকর্ড নিজের ঝুলিতে পুরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে গড়েন হ্যাটট্রিক। এই তিন স্বপ্নছোঁয়া তরুণকে নিয়ে এবারের প্রচ্ছদ রচনা লিখেছেন শাহনেওয়াজ টিটু
৫০ টাকায় কনকের রেকর্ড
কনক সেই এইটুকুন বয়স থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তবে সেই স্বপ্নকে উস্কে দেয় ইউটিউব। ইউটিউবে দেখেন ফুটবল নিয়ে কসরতের ভিডিও। জানেন, এর নাম ফুটবল ফ্রি স্টাইল। তারপর প্র্যাকটিস শুরু করেন কনক। ফুটবল হয়ে ওঠে তার একমাত্র সঙ্গী। এই ফুটবল সঙ্গে নিয়েই নাওয়া-খাওয়া। কিছুদিনের মধ্যে আয়ত্ত করে ফেলেন ব্যালান্সিং। এই ব্যালান্সিংকে পুঁজি করেই এগোতে থাকেন। কপালে ১১৫০টি কাপ ব্যালেন্স করে সাড়া ফেলে দেন। হয়ে যায় রেকর্ড। ওমা, কয়েকদিন পর সেটিই উঠে আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। এরপর একে একে আরও পাঁচটি রেকর্ড গড়েন কনক। মাত্র আট মাসে এমন রেকর্ড এর আগে করতে পারেনি দেশের কেউই। পাঁচটি রেকর্ড গড়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেকর্ডধারী বনে যান তিনি। কনক দ্বিতীয় রেকর্ড গড়েন গিটার দিয়ে। লংগেস্ট টাইম ব্যালেন্সিং আ গিটার অন ফরহেড শিরোনামের এই রেকর্ডে ২৫ মিনিট কপালে গিটার ব্যালেন্স করে গড়েন। তৃতীয় রেকর্ড সঙ্গী বাস্কেটবল। চতুর্থ রেকর্ডে ফের সঙ্গী গিটার। ডিম দিয়ে পঞ্চম রেকর্ড গড়তে মাত্র পঞ্চাশ টাকা খরচ হয় কনকের। তবে এই রেকর্ডের সঙ্গী বন্ধু ফখরুল ইসলাম। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পাওয়ার টেকনোলজি বিষয়ে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন নোয়াখালীর এই মেধাবী কনক কর্মকার।

আব্দুল হালিমের হ্যাটট্রিক রেকর্ড
বগুড়ার সন্তান আব্দুল হালিম শুধু একবার নয়, পরপর তিনটি রেকর্ড নিজের ঝুলিতে পুরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে গড়েন হ্যাটট্রিক। ২০১১ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ট্র্যাকে মাথায় বল নিয়ে টানা ১৫.২ কিলোমিটার হাঁটার ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েন হালিম। হারিয়ে দেন ১১.১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে বিশ্ব রেকর্ড গড়া মালয়েশিয়ার ই মিং লুকে। এরপর ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকায় মাথায় বল নিয়ে দ্রুততম সময়ে স্কেটিং জুতা পরে ১০০ মিটার অতিক্রম করেন হালিম। কমলাপুর রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিনি এই খেলা প্রদর্শন করেন ২৭.৬৬ সেকেন্ডে। এর ভিডিও ফুটেজ এবং অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি দেয়। ২০১৭ সালের ৮ জুন শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বল মাথায় নিয়ে সাইকেল চালিয়ে ১৩.৭৪ কি.মি. পথ অতিক্রম করে 'গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ট্রাভেলড অন এ বাইসাইকেল ব্যালেন্সিং :এ ফুটবল অন হেড' ক্যাটাগরিতে রেকর্ড গড়ে হ্যাটট্রিক করেন হামিদ। এতে তার সময় লাগে ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট। আব্দুল হালিম ১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ মাগুরার শালিখা উপজেলাধীন শতখালী ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে জন্ম নেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ফুটবলের মায়ায় পড়েন। একসময় স্থানীয় ফুটবল দলের হয়েও খেলেছেন। গোল বলেই তার দুনিয়া জয়ের স্বপ্ন। শুরু করেন কসরত। একসময় নিজেই অবাক হয়ে দেখেন, ফুটবল নিয়ে হালিম অর্ধশতাধিক আকর্ষণীয় খেলা শিখে গেছেন। স্থানীয়রা তাকে ডাকতেন ফুটবলের 'জাদুকর' বলে। গ্রামের মেলায় বা ফুটবল-ক্রিকেট খেলায় বেশ কয়েকটি বল নিয়ে হাজির হয়ে দেখাতেন ফুটবলের কসরত। মুগ্ধ হয়ে সবাই দেখেন তার ফুটবল কসরত। ফুটবল মাথায় নিয়ে গাছে ওঠা, নদী বা পুকুরে গোসল করা, বাইসাইকেলে চড়ে বেড়ানো তার জন্য কোনো ব্যাপারই না! এমন লোকের জন্যই তো এই সম্মান।

মিনিটে ১৪৪ বার বল ঘোরানো ফয়সাল
৬০ সেকেন্ডে দুই হাতে ১৪৪ বার বাস্কেট বল ঘুরিয়ে এবার রেকর্ড গড়েন ফয়সাল। এর আগে একই সময়ে ১৩৪ বার দুই হাতের মধ্যে ফুটবল ঘুরিয়ে প্রথমবারের মতো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছিলেন। মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সোহেল রানার সন্তান ফয়সাল। পড়াশোনায়ও খুব মনোযোগী ফয়সাল। পড়ছেন মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ম্যাকাটনিক্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষে। ফয়সাল স্বপ্ন দেখতেন ক্রিকেটার হওয়ার। এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে দিনমান পরিশ্রম করতেন। প্র্যাকটিস করতেন বন্ধুদের সঙ্গে। কখনও আবার একা। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও তেমন ভালো করতে পারেননি। নিজেকে গড়ে তুলতে পারেননি মনমতো। তাই অন্য কিছু করার কথা ভাবলেন। সেই সঙ্গে পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হয়ে পড়লেন। এর মধ্যেই মাথায় আসে ফ্রি স্টাইলার ফুটবলার হওয়ার ভাবনা। ভেবেচিন্তে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি বাড়ির আঙিনা ও স্থানীয় মাঠে ফুটবল নিয়ে নানা কলাকৌশল আয়ত্তে আনার জন্য অনুশীলন শুরু করেন। শুরুর দিকে দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কঠোর অনুশীলন ও মনোবলকে কাজে লাগিয়ে মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে এসে তিনি প্রথম সাফল্য পেয়ে যান। ফয়সাল যাদের রেকর্ড ভেঙে নিজে রেকর্ড গড়েন তারা দু'জনই বিদেশি। মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ১৩৪ বার ফুটবল আর্মরোলিং করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে প্রথমবারের মতো রেকর্ড গড়েন ফয়সাল। আগে এক মিনিটে ১২৭ বার বল ঘুরিয়ে যে রেকর্ডের মালিক ছিলেন রাশিয়ার ডেভিড র। এরপর তিনি বাস্কেট বল আর্মরোলিংয়ের অনুশীলন শুরু করেন। ইংল্যান্ডের মি. টমের এক মিনিটে ১২১ বারের রেকর্ড ভেঙে একই সময়ে দুই হাতের মধ্যে ১৪৪ বার বাস্কেট বল ঘুরিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান। তার এই সাফল্যে শুধু নিজ জেলায় কিংবা দেশে নয়, সারাবিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যা তাকে নতুন রেকর্ড গড়ার পথ বাতলে দিচ্ছে। ফয়সালের ইচ্ছে, আগামীতে আরও নতুন রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফ্রি স্টাইলার ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মুখ বিশ্বের সামনে আরও উঁচুতে তুলে ধরা।

আরও যত আলোচিত রেকর্ড!
জাতীয় সংগীতে বিশ্বরেকর্ড। ২০১৪ সালের স্বাধীনতা দিবসে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জনের অংশগ্রহণে একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গেয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয়, 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।' লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এ ছাড়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় রিকশার নগরী হিসেবে স্থান পেয়েছে রাজধানী ঢাকা। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি রিকশা চলাচল করে ঢাকায়। ১৫ মিলিয়ন মানুষের শহর ঢাকার যাতায়াতের মোট ৪০ শতাংশ রিকশাকেন্দ্রিক। রাজধানী ঢাকায় পাঁচ লক্ষাধিক রিকশা চলাচল করে। পরিবেশবান্ধব এই বাহন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ২০১৫ সালে লিপিবদ্ধ হয়। 'লংগেস্ট সিঙ্গেল লাইন অব বাইসাইকেল মুভিং' ক্যাটাগরিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ৩০০ ফিট রাস্তায় অংশ নেন এক হাজার ১৮৬ সাইক্লিস্ট। দুই হাজারের বেশি সাইক্লিস্টের তালিকা থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের নির্বাচিতরা এই সাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। বিডি সাইক্লিস্ট বাংলাদেশের ৪৭তম বিজয় দিবসে এমন আয়োজন করে। ১৮ জানুয়ারি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর স্বীকৃতি দেয়। এর আগের রেকর্ডটি ছিল বসনিয়ার দখলে। এবার আপনার অপেক্ষায়। কবে গড়বেন নিজের রেকর্ড?  
সমকাল।

অতীতকে ছাপিয়ে যেতে চায় নেপাল কাঠমান্ডুতে উদ্বোধন আজ


অতীতকে ছাপিয়ে যেতে চায় নেপাল
ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির এই মাঠে হবে ক্রিকেট- টুইটার
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এসএ গেমস শুরুর দু'দিন আগেই মহড়া সেরে নেয় নেপাল অলিম্পিক কমিটি। ভলিবল দিয়ে শুরু হলেও ১৩তম সাউথ এশিয়ান গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ। কী কী থাকছে উদ্বোধনীতে, তা নিয়ে মুখে কুলুপ আয়োজকদের। উদ্বোধনীর দিনে সবাইকে চমক দেখানোর জন্যই এই কৌশল নেপালের। তবে আয়োজক-সংশ্নিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে উদ্বোধনীর ভেতরের খবর। জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করে অতীতকে ছাপিয়ে যেতে চায় নেপাল। লেজার শো, কালারফুল ডিসপ্লে, নামিদামি অ্যাথলেটদের মশাল প্রজ্বালন, মাঠে প্রতিটি দেশের নামের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট দেশের মানচিত্রের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা এবং শেষে আতশবাজি পোড়ানো- কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় গেমসের এমন রঙিন উদ্বোধনের আয়োজন করেছে নেপাল। তিন ঘণ্টাব্যাপী জমকালো এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর চৌকস সদস্য ছাড়াও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা থাকছে। বিকেল ৫টায় শুরু হতে যাওয়া অনুষ্ঠানে সাত দেশের হাজার তিনেক ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন মার্চপাস্টে। সেটা পর্যবেক্ষণ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। নেপাল অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট জীবন রাম শ্রেষ্ঠা উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন শিলং ও গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। পারিবারিক সমস্যার কারণে এবার পুলে নামবেন না শিলা।

১৯৮৪ ও ১৯৯৯ সালের পর তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমসের আয়োজন করতে যাচ্ছে নেপাল। স্মরণীয় উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতিই সেরে নিয়েছে আয়োজকরা। শেষ মুহূর্তেও প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিল্পী থেকে শুরু করে কলাকুশলীরা। বিকেল ৫টায় রঙ্গশালায় প্রবেশ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী বান্দারি। এর পরই আসবেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আয়োজক কমিটি তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানাবে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের পর হবে তিন মিনিটের আকর্ষণীয় লেজার শো। উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সদস্য সচিব রমেশ কুমার সিলওয়াল। উপস্থিত থাকবেন ক্রীড়ামন্ত্রী জগৎ বাহাদুর বিশ্বকর্তা সুনার। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী বান্দারির উদ্বোধনী ভাষণের পরেই সাবেক চার তারকা অ্যাথলেট মশাল ব্যাটন নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন। শেষে মশাল প্রজ্বালন করে এসএ গেমসে আলো জ্বালাবেন চারবারের স্বর্ণজয়ী সাবেক তায়কোয়ান্দোকা দীপক বিষ্ঠা। ক্রীড়াবিদদের পক্ষ থেকে শপথবাক্য পাঠ করবেন তারকা ক্রিকেটার পরশ খড়কা এবং কোচদের পক্ষ থেকে রেফারি দীপক থাপা।

এর পরই শুরু হবে মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স। রঙিন আয়োজনে থাকবে ওয়েলকাম নৃত্য। ১২ মিনিট ধরে নেপালের সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ফোর্সেস ও নেপাল পুলিশের এক হাজার চৌকস সেনা সাত দেশের নামের সঙ্গে মাঠেই সংশ্নিষ্ট দেশের মানচিত্র ফুটিয়ে তুলবেন নিজেরা। নেপালের ঐতিহ্যগত নৃত্যও থাকবে। যাকে বলা হবে, মাসকেলেস থিনিক। নেপালের প্রায় সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন সঞ্জীব শিল্পকার। এবারও আয়োজনের বড় অংশটি সাজিয়েছেন তিনি। নেপালের সংস্কৃতির কোনো কিছুই যেন বাদ না পড়ে, সে জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন সঞ্জীব, 'আমরা এসএ গেমসের রঙিন উদ্বোধনের চেষ্টা করছি। তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনের পর দিন আয়োজন সাজাতে হয়েছে। গত কয়েক দিনে শত শত ছাত্রছাত্রীর পারফরম্যান্সের ওপর নজর রাখতে হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতির কোনো কিছুই যেন বাদ না পড়ে, সেদিকে নজর রেখেছি। মোদ্দাকথা, একটি নির্মল বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করব দর্শক এবং আগত ছয় দেশের ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাদের। আশা করি, সবার ভালো লাগবে আমাদের উদ্বোধন অনুষ্ঠান।' মোটকথা, জমকালো উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত নেপাল।সমকাল।

Thursday, November 28, 2019

গভর্নর হতে যাচ্ছেন মুরলিধরন

গভর্নর হতে যাচ্ছেন মুরলিধরন
মুত্তিয়া মুরলিধরন। ছবি: সংগৃহীত
শ্রীলংকার উত্তর প্রদেশের গভর্নর হতে যাচ্ছেন দেশটির ক্রিকেট কিংবদন্তী মুত্তিয়া মুরলিধরন। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মুরলিধরনকে দেশটির উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিয়োগ দিতে চান।
শ্রীলংকার স্থানীয় ডেইলি মিরর পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এ মাসের শুরুর দিকে শ্রীলংকা সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া রাজাপাকসে তিনজন নতুন গভর্নর নিয়োগ দেবেন, যার মধ্যে একজন মুরলিধরন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগতভাবে মুরলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাকে উত্তর প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
পেসিডেন্টের দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, মুরলিধরনকে উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হবে। পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে অনুরাধা ইয়াহামপাথ এবং নর্থ সেন্ট্রাল প্রোভিন্সের গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হবে তিসা বিথারানাকে। খবর: বাসস
ইত্তেফাক/জেডএইচ

ফ্যানদের ক্ষতিপূরণ দিবেন ফেদেরার!

ফ্যানদের ক্ষতিপূরণ দিবেন ফেদেরার!

ফ্যানদের ক্ষতিপূরণ দিবেন ফেদেরার!
সুইস টেনিস তারকা রজার ফেদেরার। ছবি সংগৃহীত
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায় একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার কথা ছিল টেনিস তারকা রজার ফেদেরারের। কিন্তু বোগোতায় কারফিউয়ের কারণে ম্যাচটি আপাতত বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছর মার্চে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফেদেরারের এজেন্ট। ২২ নভেম্বর প্রদর্শনী ম্যাচটিতে সুইস তারকার মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল জার্মানির আলেজান্ডার জেভেরেভের। মোভিস্টার এ্যারেনায় হাইপ্রোফাইল এই ম্যাচে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন টেনিসপ্রেমীরা। তবে, ফ্যানদের হতাশ না হওয়ার অনুরোধ করে এজেন্ট টনি গডসিক​ জানিয়েছেন ফ্যানরা খালি হাতে ফিরবেন না।
গডসিক বলেন, 'হয় আমরা নতুন দিন নির্ধারিত করব এই ম্যাচের জন্য অথবা যারা টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।' এল কলোম্বিয়ানো খবরের কাগজকে এই কথা বলেছেন তিনি। সুইস তারকার এজেন্ট আরও জানান, এই ম্যাচ মায়ামি ওপেনের আগেই খেলা হবে। ২৩ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে মিয়ামি ওপেন।

তবে সেই ম্যাচে ফেদেরারের প্রতিপক্ষ হিসেবে জেভেরেভকেই পাওয়া যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। টেনিসের ইতিহাসে ২০টি গ্র্যান্ডস্লামজয়ী ফেদেরারই সবচেয়ে সফল পুরুষ প্লেয়ার। এর আগে তিনি একবারই কলোম্বিয়ায় খেলেছিলেন। ২০১২ তে সেখানে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে তিনি হারিয়েছিলেন জো-উইলফ্রেড সোঙ্গাকে।
ইত্তেফাক/এসএইচএম

বাণিজ্য ১ টাকায় গেইম খেলে মোটরবাইক জেতার সুযোগ

নারী ও কিশোর ফুটবলারদের গণভবনে সংবর্ধনা

  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

রোনালদো-রাউলকে ছাড়িয়ে মেসির নতুন রেকর্ড







Monday, November 25, 2019

মেসির হাতেই ব্যালন ডি'অর দেখছেন এমবাপে

স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নামটা রয়েছে নিজেরও। গত মৌসুমে ছিলেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। তারপরও এবারের ব্যালন ডি'অর দৌড়ে নিজেকে রাখেননি হালের অন্যতম সেরা তরুণ তারকা কিলিয়েন এমবাপে। তার দৃষ্টিতে গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সম্প্রতি ফরাসী গণমাধ্যম স্পাইগেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন বিশ্বকাপ জয়ী এ তরুণ।
গত মৌসুমে দারুণ খেলেছেন এমবাপে। লিগ ওয়ানে ২৯ ম্যাচে করেছেন ৩৩টি গোল। মেসির সঙ্গে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের লড়াইটা দারুণ জমে উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত মেসি জিতে নেন সে পুরস্কার। চলতি মৌসুমে অবশ্য বেশির ভাগ সময়ই ইনজুরির কারণে ছিলেন মাঠের বাইরে। খেলেছেন মাত্র পাঁচ ম্যাচ। এরমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একটি ম্যাচে হ্যাটট্রিকও আদায় করেছেন এ তরুণ।
চলতি বছরের ব্যালন ডি'অরের নিজের সম্ভাবনা কেমন এমন প্রশ্নে এমবাপে বলেছেন, 'যদি ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে বিচার করেন তাহলে গত বছরের সেরা ছিল মেসি।'
গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ খেলে মেসি গোল করেন ৫০টি। কেবল লিগে ৩৬ গোল করায় জেতেন লা লিগা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ১২ গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি। ক্লাবের হয়ে জেতেন লিগ শিরোপা। কোপা আমেরিকায় তার দল আর্জেন্টিনা দখল করে তৃতীয় স্থান।
তবে এ বছর মেসির অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইক। চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। লিভারপুলকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে রাখেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জাতীয় দলের জার্সিতেও সফল তিনি। নেদারল্যান্ডসকে উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে ওঠানোর পেছনে অবদান ছিল তার।
গত মৌসুমটা দারুণ কাটান রোনালদোও। জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম মৌসুমেই ইতালিয়ান সিরি আ শিরোপার পাশাপাশি জেতেন সুপার কাপও। পর্তুগালের জার্সিতেও তিনি ছিলেন সফল। জেতেন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শিরোপা। নতুন চালু হওয়া নেশন্স লিগের ফাইনালে হারান ভ্যান ডাইকের নেদারল্যান্ডসকে। পুরো মৌসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলে রোনালদো গোল করেন ২৮টি।

Monday, November 18, 2019

মেসির নৈপুণ্যে হার এড়াল আর্জেন্টিনা


স্পোর্টস ডেস্ক
প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই ল্যাটিন দল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। কিন্তু প্রতিবেশী দুই দলের আগ্রাসী মনোভাবে শেষ পর্যন্ত আর প্রীতি থাকেনি। হাতাহাতি পর্যন্তও হয়েছে। উত্তেজনাপূর্ণ এ ম্যাচটি অবশ্য শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে। ২-২ গোলের সমতা নিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলদুটি। মূলত অধিনায়ক লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে হার এড়ায় আর্জেন্টিনা। গোল করার পাশাপাশি একটি গোলও করিয়েছেন তিনি।
সোমবার তেলআবিবে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে আর্জেন্টিনা। কিন্তু দুই দুইবার পিছিয়ে পড়ে দলটি। তবে দুইবারই দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লিওনেল মেসির পেনাল্টি গোলে সমতাসূচক গোল পায় দলটি। এছাড়া গোল পেয়েছেন সের্জিও আগুয়েরোও। উরুগুয়ের হয়ে গোল দুটি করেছেন দলের সেরা দুই তারকা এদিসন কাভানি ও লুইস সুয়ারেজ।
এদিন ৬৬ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল আর্জেন্টিনা। দারুণ কিছু আক্রমণও করেছিল দলটি। বারপোস্টে মোট শট ছিল ১৬টি। তার ছয়টি লক্ষ্যে। কিন্তু গোল পায় দুইটি। অন্যদিকে পাঁচটি শটের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে রেখে সে দুটি থেকেই গোল আদায় করে নেয় উরুগুয়ে।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে ধারা বিপরীতে গোল পেয়ে যায় উরুগুয়ে। এদিসন কাভানির গোলে এগিয়ে যায় দলটি। লুকাস তোরেইরার ক্রস ধরে গোল মুখে বল ঠেলে দেন লুইস সুয়ারেজ। আলতো টোকায় বল জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি কাভানি। পাঁচ মিনিট বল জালে জড়িয়েছিলেন পাওলো দিবালা। তবে শট নেওয়ার আগে হাতে লাগলে বাতিল হয় সে গোল।
 ৬৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রিকিক থেকে মেসির নেওয়া ক্রসে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন সের্জিও আগুয়েরো। তবে ছয় মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে সুয়ারেজকে ফাউল করলে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পায় উরুগুয়ে। নিজেই শট নেন সুয়ারেজ। এ বার্সা তারকার দারুণ শট আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল জালে জড়ায়।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে ফের সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। স্পটকিক থেকে গোল আদায় করে নেন মেসি। ডি-বক্সের মধ্যে মার্তিন কেরেরেসের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ফলে ড্রয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হারের পর এ নিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে অপরাজিত থাকল দলটি।

Star

বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফট: কে কোন দলে



মাঠেই সতীর্থের গায়ে হাত তুলে বহিষ্কার শাহাদাত


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

শীলার হাতে দেশের পতাকা



Sunday, November 17, 2019

আইসিসি র‍্যাংকিংয়ের কোথাও নেই সাকিব!


আইসিসি র‍্যাংকিংয়ের কোথাও নেই সাকিব!
সাকিব আল হাসান। ছবি সংগৃহীত।
সম্প্রতি প্রকাশিত আইসিসি র‍্যাংকিংয়ের তিন ফরম্যাটেই জায়গা হারালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০, ক্রিকেটের কোন ফরম্যাটেই শীর্ষ ১০ এর তালিকায় নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তার। ফিক্সিং এর প্রস্তাব পাওয়ার পর আইসিসির দূর্নীতি দমন ইউনিটকে সে খবর না জানানোর অপরাধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করছেন বাংলাদেশের সেরা এই ক্রিকেটার।
গত মাসের আইসিসি র‍্যাংকিংয়ে টি-২০ তে অলরাউন্ডার তালিকায় ২ নাম্বারে অবস্থান করছিলেন সাকিব। একইসঙ্গে এই ফরম্যাটে বোলিং র‍্যাংকিংয়ে ৯ নাম্বার অবস্থানে ছিলেন তিনি। এছাড়া গত মাসের টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে নিজের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অটোমেটিক চয়েস।
কিন্তু সদ্য প্রকাশিত আইসিসি র‍্যাংকিং তালিকা থেকে নিজের অবস্থান হারিয়েছেন সাকিব। এমনকি শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের নামের তালিকায় কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তার নাম। টি-২০ অলরাউন্ডারদের তালিকায় তার স্থলে উঠে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এ তালিকায় শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে উত্থান ঘটেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর। এছাড়া টেস্টে অলরাউন্ডার তালিকায় সাকিবের শীর্ষস্থান দখল করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।

এছাড়া সর্বশেষ প্রকাশিত আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডার তালিকায় সাকিবের অনুপস্থিতির সুযোগে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মধ্যমণিকে ক্রিকেট থেকে লম্বা বিরতিতে থাকতে হবে বলেই সদ্য প্রকাশিত আইসিসির নতুন তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের শীর্ষস্থানগুলোতে বড় ধরনের এই পরিবর্তন।
ইত্তেফাক/এসএইচএম

ইডেনে ঘাসের উইকেট


ইডেনে ঘাসের উইকেট
ইডেনে ঘাসের উইকেট
ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে বলেন, ‘গোলাপি বলে খেলা হলে পিচে একটু ঘাস থাকলে ভালো। না হলে, দ্রুত বলের পালিশ উঠে গিয়ে ব্যাটসম্যানদের খেলতে অসুবিধা হতে পারে।’ বোঝাই যাচ্ছে, ইডেনের উইকেটও হবে গতিময়।ইন্দোর টেস্টে পেসের জাল বুনেই বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শোনা যাচ্ছে, ইডেন গার্ডেন্সেও এর ব্যতিক্রম হবে না। গতির ঝড় তুলতে ইডেনের কিউরেটররা বানাচ্ছেন ঘাসের উইকেট। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি উদ্যোগ।
কলকাতায় হোটেলে ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের থাকার কথা, সেখানে একটা সম্মেলন থাকায় ঘর পাওয়া যাবে না। ফলে, ইন্দোর টেস্ট আগেভাগে শেষ হয়ে গেলেও আগের বুকিংই মানতে হচ্ছে দুই দলকে। আগামীকাল মঙ্গলবার একই ফ্লাইটে কলকাতায় আসবে কোহলি-মুমিনুলরা।
এবারই প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামছে দুই দল। এই ইডেন টেস্টকে সামনে রেখে বেশ কিছু পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। এই টেস্ট দেখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তার সঙ্গে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
ফলে, কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও ম্যাচটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে সেটা বুঝতে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ২১ সদস্যের একটি দল কলকাতা যায়। এ সময় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তাদের। কিছু ব্যাপারে সুপারিশও করেছেন।
২০০০ সালের নভেম্বরে দেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচটায় বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল ভারতকে। দলটির অধিনায়কও আবার ছিলেন এই গাঙ্গুলি। ইডেন টেস্ট দেখতে সেই ম্যাচে খেলা দুই দলের সবাইকেও আমন্ত্রণ জানাবে বিসিসিআই। ম্যাচ শেষে তাদের দেওয়া হবে সংবর্ধনা। শোনা যাচ্ছে, এই টেস্ট দিয়েই ধারাভাষ্য কক্ষে অভিষেক হবে মহেন্দ্র সিং ধোনির।

প্রথম টেস্টে ইন্দোরে এক ইনিংস ও ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। এর আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচটি জয় দিয়ে শুরু করলেও শেষ দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হারতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে।
ইডেন টেস্টকে সামনে রেখে টিকিট নিয়ে হাহাকার চলছে। সিএবির দাবি, গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। কারণ, প্রথম তিন দিনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে।
ইত্তেফাক/এএএম

Saturday, November 16, 2019

টেস্ট দুর্বলতা কাটাতে না পারলে বাংলাদেশের দাম থাকবে না-মোহাম্মদ রফিক

১৯ বছরেও টেস্ট ক্রিকেট রপ্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। গড়ে ওঠেনি টেস্ট-সংস্কৃতি। ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে ইনিংস পরাজয়ে চরম হতাশ আইসিসি ট্রফি জয় এবং দেশের প্রথম টেস্ট জয়ের অন্যতম নায়ক মোহাম্মদ রফিক।
২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট ও ৮৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জাতীয় দলের এ তারকা ক্রিকেটার।
দেশের অভিষেক টেস্টে খেলা কিংবদন্তি তুল্য এ স্পিনার যুগান্তরকে দেয়া সক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তার একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন স্পোর্টস রিপোর্টার আল-মামুন। সেই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল।
যুগান্তর: ভারতের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো খেলার পরও ইন্দোর টেস্টে ইনিংস পরাজয় নিয়ে যদি বলেন?
মোহাম্মদ রফিক: এটা নিয়ে আর কী বলব? খেলা আপনিও দেখেছেন আমিও দেখেছি। সবচেয়ে ভালো আপনারাই বলতে পারবেন, যেহেতু আপনারা লেখালেখি করেন। তাছাড়া আপনারা ক্রিকেট ম্যাচগুলো কাভার করেন।
তবে প্লেয়ার হিসেবে যদি বলতে হয়, ইন্দোরের উইকেট অনুসারে যেরকম টিম হওয়ার কথা ছিল, সেরকম টিম সাজানো হয়নি। এত ভালো ভালো পেস বোলার থাকতে তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের দিয়ে কী করা হবে? এর চেয়ে স্লো উইকেটে খেলানো হবে? এখানের উইকেট তো ছিল বাউন্সি। পেস বোলারদের জন্য আদর্শ। ইন্দোরে ভারতের ২০ উইকেট তুলে নিতে হলে যে মানের পেস বোলার দরকার ছিল তাদের নামানো হয়নি। আমরা উইকেট অনুসারে দল সাজাতে পারিনি। এই জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে।
সবচেয়ে বড় কথা হল যে উইকেট ছিল টস জিতে ফিল্ডিং নিলে আরোও ভালো হতো। তাহলে অন্তত টেস্ট ম্যাচটা তিনদিনে শেষ হতো না।
যুগান্তর: ভারতের পরিচিত উইকেটে এভাবে ইনিংস পরাজয় কী আমাদের ব্যর্থতা?
মোহাম্মদ রফিক: ব্যর্থতা বলব না। আপনারা খেলা দেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় যাচ্ছে, সেটা নিয়ে আমাদের এখন থেকেই চিন্তা করা উচিত। আমরা তো এত খারাপ টিম না। ২০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, তাছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রতি বছরই দেখা (খেলা) হয়। এরকম না যে নতুন দল, এদের কাউকে চিনি না, জানি না। তাতো নয়। এদের সবাইকে আমরা চিনি। কারা কেমন ব্যাট আর বোলিং করে তাও ভালো করেই জানি। সবচেয়ে বড় কথা হল ইন্দোর টেস্টে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করার মতো টিম সাজানো হয়নি।
যুগান্তর: জাতীয় দলের কোচ বলেছেন ভারতীয়দের মানের ব্যাটসম্যান আমাদের দলে নেই। এটা নিয়ে আপনি কি বলবেন?
মোহাম্মদ রফিক: না না, আমাদের বোলিং সাইটটাই দুর্বল। টেস্ট ম্যাচে বোলারদের কাজ করতে হবে। বোলাররা যদি ওদের অলআউট না করতে পারে, তাহলে ওদের ব্যাটসম্যান কি আমাদের ছেড়ে দেবে? ছাড়বে না। সবচেয়ে আগে একটাই চিন্তা করতে হবে ওদের অলআউট করতে হবে। এই টেস্টে উইকেট শিকারের মতো বোলার বাংলাদেশ দলে ছিল না।
যুগান্তর: ১৯ বছরে বাংলাদেশে টেস্টে প্রত্যাশিত পর্যায়ে না যাওয়ার পেছনে কী কী কারণ দেখছেন?
মোহাম্মদ রফিক: ২০ বছর হয়ে গেল, আর কবে উন্নতি হবে? আর কবে শিখব আমরা? এখন থেকে ১০ বছর আগেও আমরা এর চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা অপ্রত্যাশিত।
যুগান্তর: টেস্টে উন্নতির জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
মোহাম্মদ রফিক: পরামর্শ একটাই, টেস্টে আমরা অনেক দুর্বল। ভালো করতে না পারলে আপনার কোনো দাম থাকবে না।
যুগান্তর: এতদিন খেলার পরও টেস্ট মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে..?
মোহাম্মদ রফিক: এই প্রশ্নটা আমাদের না করে যারা ম্যানেজমেন্টে আছেন তাদের করেন। তাহলে বেটার জবাব পাবেন। আপনিও খেলা দেখেন, আমিও দেখি। ক্রিকেট নিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার চেয়ে ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তাদের কথাই সঠিক হবে। সুতারং এই প্রশ্নটা ম্যানেজমেন্টকে করলে ভালো জবাব পাবেন।
যুগান্তর: দীর্ঘদিন টেস্ট খেলার পরও বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় দেখে হতাশ হন?
মোহাম্মদ রফিক: যারা ম্যানেজমেন্টে আছে তারা কি চিন্তা করে সেটাই দেখার বিষয়। আপনি হতাশ হলে হবে? আপনি কিছু করতে পারবেন, না আমি কিছু করতে পারব? কিছুই করতে পারব না। আমরা শুধু আলোচনাই করতে পারি। হতাশা বা অস্থিরতা তারাই তৈরি করেছে, তাদেরই বন্ধ করতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের প্রশ্ন করতে হবে কেন এমন হচ্ছে।
যুগান্তর: ১৯ বছরেও দেশে টেস্ট-সংস্কৃতি গড়ে না ওঠা নিয়ে যদি কিছু বলেন?
মোহাম্মদ রফিক: বিশ বছরে টেস্ট-সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। তাহলে আর কবে হবে? আগেও এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কোনো কাজ হয়নি। আমরা শুধু বলেই যেতে পারি কোনো কাজ হয়নি।

ডে-নাইট টেস্টে সোনার কয়েনে টস, গোলাপি বল নামবে আকাশ থেকে



ডে-নাইট টেস্টে সোনার কয়েনে টস, গোলাপি বল নামবে আকাশ থেকে
ফাইল ছবি
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ইডেনে শুরু হতে চলেছে ঐতিহাসিক ডে নাইট টেস্ট। ভারত ও বাংলাদেশ, উভয় দলের কাছেই এটা প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট। আর এই ঐতিহাসিক টেস্টের প্রথম দিন স্মরণীয় করে রাখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে সিএবি। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ঐতিহাসিক টেস্ট শুরুর আগে আকাশ থেকে প্যারাসুটে করে নেমে আসবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারাট্রুপাররা। তারাই আম্পায়ারদের হাতে তুলে দেবেন ম্যাচ বল। একই সঙ্গে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। এর পাশাপাশি ইডেনে প্রথম দিন রাতের টেস্টের টস হবে সোনার কয়েনে। ওই ম্যাচের টিকিট যাতে দর্শকরা সংগ্রহ করে রেখে দিতে পারেন, তাই টিকিটও বেশ আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি টেস্টের পাঁচদিন শহরকে গোলাপি আলোয় সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
টেস্টে গ্যালারি ভরাতে আগে ভাগেই টিকিটের দাম কমানোর কথা ঘোষণা দেয় সিএবি। সর্বনিম্ন ৫০ রুপি পাওয়া যাবে দৈনিক টিকিট। আগে এই টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ রুপি। এছাড়া ২০০ ও ১৫০ রুপির টিকিটের মূল্যও ৫০ রুপি করে কমানো হয়। ইতিমধ্যেই অনলাইনে টিকিট বিক্রির প্রথম তিনদিনের টিকিট প্রায় শেষ। বিডি-প্রতিদিন/শফিক

চাকরি হারাচ্ছেন হাথুরুসিংহে, শ্রীলঙ্কায় আসছে নতুন কোচ

চাকরি হারাচ্ছেন হাথুরুসিংহে, শ্রীলঙ্কায় আসছে নতুন কোচ


শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত হননি হাথুরুসিংহে। তবে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সাবেক কোচ মিকি আর্থারকে পেতে উঠে পড়ে লেগেছে লঙ্কানরা।
আর্থারের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনও প্রকার চুক্তিতে আসেনি এসএলসি। তবে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভার জানিয়েছেন, “আগামী ডিসেম্বরে পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই এই প্রোটিয়া কোচের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলতে পারবেন তারা। বিশ্বকাপের পরপরই একাধিক হাই-প্রোফাইল কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বোর্ডটি। যার মাঝে ইংল্যান্ড দলের বর্তমান ব্যাটিং কোচ মার্ক রাম প্রকাশের নামও আছে।”
ডি সিলভা আরও বলেন, “আমরা এরইমধ্যে মিকির সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুতই একটি চুক্তিতে আসতে পারব। তিনি ২০১৭ সালে পাকিস্তানের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। পাকিস্তানকে টি-টুয়েন্টির র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে নিয়ে গেছেন। সবার কাছেই তিনি পরম শ্রদ্ধেয়।” উল্লেখ্য, চলতি বছরেই পাকিস্তানের প্রধান কোচ থেকে বরখাস্ত হন আর্থার। দলটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দারুণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্টিভ রিক্সনের সঙ্গে। রিক্সন বর্তমানে শ্রীলঙ্কা দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে আছেন।
অন্যদিকে, হাথুরুকে নিয়ে  ঝামেলাতে আছে লঙ্কান বোর্ড। কার্যত দলের সঙ্গে থাকতে না পারলেও এখনও তিনি দলটির কোচ।  কারণ বোর্ডের সঙ্গে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি আছে তার। তাই কৌশলে তাকে চাকরিচ্যুত করতে সব চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে বোর্ড।
বিডি প্রতিদিন/কালাম

ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক মেসি



টেস্ট দলে অদল বদলের দরকার দেখছেন কোচ


ক্রীড়া প্রতিবেদক, ইন্দোর থেকে
বাংলাদেশ যে কাঠামোতে টেস্ট খেলছে, তাতে ফল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে সাফল্য আনতে কাঠামোগত বদলের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন কোচ। টেস্ট দলে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে চান তিনি একইসঙ্গে পুরনো কাউকে কাউকে বাদ দেওয়ারও ইঙ্গিত তার কথায়। 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে ভারতে এসে কঠিন এক বাস্তবতার মাঝে পড়েছে বাংলাদেশ। উইকেটের ধরণ দেখে যেমন একাদশ করা দরকার তা বুঝতে পেরেও তেমন একাদশ করতে না পারার অসহায়ত্ব কোচের কণ্ঠে।
ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৩৪৩ রানে। অপেক্ষায় আছে আরেকটি বড় হার। ইন্দোরের হোল্কার স্টেডিয়ামের উইকেটে ছিল ঘাসের ছোঁয়া। ভারত তিন পেসার নিয়ে কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। অথচ বাংলাদেশ এখানে নামে একজন পেসার কম নিয়ে। কেন এমনটা করেছেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই কোচের উপলব্ধি, ‘দলের কাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। দুই পেসার নিয়ে খেলা আসলেই কঠিন। আমাদের অবশ্যই একজন তৃতীয় পেসার দরকার যে ব্যাট করতে পারে। সাইফুদ্দিন ছিল কিন্তু সে চোটে ভুগছে। কিন্তু দলের কাঠামোর দিকে নজর দিতে হবে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে যারা খেলবে তারা ভালো উইকেট বানাবে, যেখানে স্পিন অতো থাকবে না। আমাদের একজন পেসার খুঁজে বের করতে হবে যে সাত করে আটে ব্যাট করে দেবে।
কেবল একজন পেস অলরাউন্ডারই নয়। কোচের কণ্ঠে আরও নতুন খেলোয়াড় নিয়ে আসার আভাস। আবার একইসঙ্গে অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড়ের অবদান স্বীকার করে তাদের বিদায় দেওয়ার ইঙ্গিত কোচের কণ্ঠে,    ‘কোন সন্দেহ নেই দলের কাঠামো বদলাতে হবে, না হলে ফল আসবে না। আমি নির্বাচকদের সঙ্গে বসব এবং এই নিয়ে পরিকল্পনা করব। আমাদের কিছু খেলোয়াড় বের করতে হবে যাদের নিয়ে এগোনো যায়। যদি কিছু নতুন খেলোয়াড় নিয়েও আমাদের সংগ্রাম করতে হয় তাহলে এখানকার চেয়ে খারাপ কিছু হবে না। আমাদের দলে কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে এবং তাদের সম্মান করতে হবে। তাদের পাররম্যান্সের মূল্য দিতে হবে। কিন্তু দলের স্বার্থে আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’
 Star

টেস্টে ১৯ বছরেও কি পার হলো শৈশব?


সাব্বির হোসেন
গেল ১০ নভেম্বর ১৯ বছর পেরিয়ে ২০তম বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট। যে ভারতের বিপক্ষে সাদা পোশাকে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল বাংলাদেশ, বিশের ঘরে ঢুকে কাকতালীয়ভাবে সেই দলটির বিপক্ষেই প্রথম ম্যাচটি খেলছে তারা। কিন্তু এই সংস্করণে তারুণ্যের জয়গান গাওয়ার বদলে বাংলাদেশ এখনও পড়ে আছে সেই শৈশবেই- হাঁটি হাঁটি পা পা যুগে! ইন্দোর টেস্টের দিকে তাকালেই যার প্রমাণ মেলে। পাঁচ দিনের ম্যাচে তিন দিনের মধ্যে ইনিংস ব্যবধানে হার যে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে।
২০০০ সাল। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্ট ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। প্রথম তিন দিন লড়াই হলো সেয়ানে সেয়ানে। চতুর্থ দিনে পাল্টে গেল চিত্র। অভিজ্ঞতা আর শক্তিতে এগিয়ে থাকা ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল মাত্র ৯১ রানে। জয়ের জন্য পাওয়া ৬৪ রানের সহজ লক্ষ্যটা হেসেখেলে ১ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে গেল ভারতীয়রা। সেই নাটকীয় ছন্দপতনের নজির থেকে এই ১৯ বছরে কতটা এগিয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট? সে প্রশ্নের উত্তর ‘ইতিবাচক’ না হয়ে যে ‘নেতিবাচক’ দিকেই এগোয়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?
চোখ মেলা যাক পরিসংখ্যানের দিকে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর আরও ১১৪টি ম্যাচ খেলে শেষ করেছে বাংলাদেশ (চলমান ইন্দোর টেস্ট বাদে)। এর মধ্যে জয় মাত্র ১৩টি, ড্র ১৬টি, বাকি ৮৬ টেস্টেই নিতে হয়েছে হারের তেতো স্বাদ। জয় পাওয়া ম্যাচের প্রায় অর্ধেক (৬টি) দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ৪টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় আছে একটি করে।
বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতার স্বাদ নেয় ২০০৯ সালে। দুই ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল তারা। তবে সেই দলে উইন্ডিজের মূল দলের তারকারা ছিলেন না। বাংলাদেশ পেয়েছিল আনকোরা প্রতিপক্ষকে।
২০১৬ সালে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারানোর পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সাদা পোশাকে জয়ের অমৃত স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। দুটি জয়ই ছিল দেশের মাটিতে। টেস্ট অঙ্গনে বাংলাদেশের সেরা সময়টা কাটে গেল বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। ঘরের মাটিতে পূর্ণশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে তারা। ঢাকার মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের জয়টা ছিল ইনিংস ও ১৮৪ রানের, কোনো প্রতিপক্ষকে ইনিংস ব্যবধানে হারানোর এটাই এখন পর্যন্ত প্রথম ও একমাত্র নজির বাংলাদেশের।
তবে স্মৃতিচারণের মতো এমন মধুর উপলক্ষ কমই পেয়েছে বাংলাদেশ। এই যেমন- ৮৬ হারের ৪০টিই ইনিংস ব্যবধানে! আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট ম্যাচটি তো এক অন্ধকারাচ্ছন্ন অধ্যায়। মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা আফগানদের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে ২২৪ রানের হার টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কঙ্কালসার চেহারা আরও একবার ফুটিয়ে তোলে।
বাংলাদেশের ১১৫ টেস্ট ম্যাচের প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২৭টি) শেষ হয়েছে তৃতীয় দিনে! এর মধ্যে ২৩টিতেই হার দেখেছে তারা, ৪টি ফল আনতে পেরেছে নিজেদের দিকে। গেল বছর উইন্ডিজের বিপক্ষে ২টি ম্যাচে নাস্তানাবুদ করা, তার আগে ২০১৬ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় আর ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে হারানো- সবই তিন দিনের মধ্যে।
ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই টেস্টে বাংলাদেশের দিশাহীন অবস্থা। কোন উইকেট থেকে বাংলাদেশ সুবিধা আদায় করে নিতে পারে- সে প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই যেন! কদিন আগে দেশে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অতি টার্নিং উইকেট বানিয়ে চরম হতাশা জাগানো এক হারের মুখে পড়েছিল দল, রিস্ট স্পিনারের বিপক্ষে খেলতে না পারার সামর্থ্য বেরিয়ে এসেছিল। অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গতি ও বাউন্সে খাবি খাওয়ার চিত্রও দেখা গেছে। আবার স্পোর্টিং উইকেটে (ইন্দোরের হল্কার স্টেডিয়ামের উইকেটের মতো) মুভমেন্ট, গতি আর কৌশলী আক্রমণের বিপক্ষেও হাওয়া বদলের কোনো ইঙ্গিত নেই।
সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটা থেকে যায়, তা হলো- প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষমতা কি বাংলাদেশের বোলারদের আছে? টেস্টের পেসার নিয়ে হাহাকারও তো আছে! এই ফরম্যাটে উইকেট শিকারের সংখ্যায় বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ বোলারের একজন বাদে সবাই স্পিনার। সেই পেসারও আবার ২০০৯ সালের পর গেল ১০ বছরে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেননি- মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর শীর্ষ পাঁচের কারোরই গড় ৩০ এর নিচে নয়। এতেই বোঝা যায় দৈন্য!
১৯ বছর আগে যে মানসিকতা নিয়ে টেস্ট খেলতে নামত বাংলাদেশ, তার পরিবর্তন আদৌ কি হয়েছে? জেতার প্রত্যাশা তো দূরে থাক, ব্যাকফুটে থেকেই নামে দল। ব্যাটিং বিভাগ শক্তিশালী করে সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করানোর পরিকল্পনা থেকে অনেক সময়ই ছেঁটে ফেলা হয় বোলারদের। আট-নয়জন ব্যাটসম্যান নিয়ে একাদশ সাজানোর উদাহরণ আছে অনেক (ইন্দোরে যেমন পেসবান্ধব উইকেটে একজন পেসার কম নিয়ে একাদশ সাজিয়ে খেসারত দিয়েছে দল)।
প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের সাদা পোশাকে খেলার মানসিকতা নিয়ে। অথচ পাল্টে যাওয়ার উদাহরণ রয়েছে কাছেই। এই শতাব্দির শুরুতে যখন বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পায়, তখন কেবল কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে যে ভারত ঘরের মাটিতে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল, তারা গেল ১৯ বছরে মানসিকতা বদলে-পরিকল্পনা সাজিয়ে দ্রুতলয়ে এগিয়ে এখন ঘরের বাইরেও থাবা বসায়। চলতি বছরের শুরুতে যেমন উপমহাদেশের প্রথম দল হিসেবে তারা টেস্ট সিরিজ জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। কেবল স্পিন আক্রমণে নয়, পেসেও তারা বিশ্বের সেরাদের কাতারেও। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবশেষ তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছে তাদের গতি তারকারা।
বিপরীতে, প্রায় দুই যুগ হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ঘরোয়া পর্যায়ে ক্রিকেটের মানও সেই আগের মতোই। নেই সুস্পষ্ট পরিকল্পনার ছাপ। স্বল্পমেয়াদে সাফল্য পাওয়ার নেশায় আগামীর পথ চলা নিয়ে বাংলাদেশের নেই কোনো ভাবনা। আর এসব কারণেই একটুখানি বিরূপ পরিস্থিতি এলেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে সব।

Star

Wednesday, November 13, 2019

বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্ট আজ থেকে, আরেক নভেম্বরে নতুন শুরু


মমিনুল-কোহলি
আগেরদিন ভারতের সহ-অধিনায়ক আজিংকা রাহানে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই ভালো দল। আমরা তাদের হালকাভাবে নিচ্ছি না। সমীহ করছি।’
বুধবার ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বললেন। তবে সেসব তার মনের কথা নাকি ক্রিকেটীয় ভব্যতা, বলা মুশকিল।
টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড যে বড়ই বিবর্ণ। তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজে বাংলাদেশ বুক চিতিয়ে লড়াই করলেও সাদা পোশাকের চ্যালেঞ্জটা ঢের কঠিন। সময়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক টেস্ট দল ভারত।
ঘরের মাঠে তারা একরকম অপ্রতিরোধ্য। দেশের মাটিতে টানা ১১ টেস্ট সিরিজ জয়ের অনন্য রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে বিরাট কোহলির দল। ইন্দোরে আজ শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।
এ যেন দৈত্য গোলিয়াথ ও পুঁচকে ডেভিডের সেই চরম অসম লড়াই। ভারত যেখানে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে, বাংলাদেশ সেখানে পড়ে আছে নয় নম্বরে। মুখোমুখি লড়াইয়ের চিত্রও একতরফা। আগের নয় টেস্টের দুটি বৃষ্টির সৌজন্যে ড্র হয়েছিল।
বাকি সাতটিতেই বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে। দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল না থাকায় আশার জায়গা এবার আরও কম। তবে এটাই হতে পারে বাংলাদেশের তুরুপের তাস!
প্রত্যাশার কোনো চাপ না থাকায় এই সিরিজটা নিজেদের মেলে ধরার দারুণ সুযোগ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য। আর প্রেরণা হিসেবে থাকছে একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। ইন্দোর টেস্ট দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের।
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। ১৯ বছর পর আরেক নভেম্বরে আরেকটি নতুন যাত্রার শুরুতেও প্রতিপক্ষ সেই ভারত। অভিষেক টেস্টে সব প্রত্যাশা ছাপিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪০০ রান।
ভারতের বিপক্ষে যা এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এবারও অভাবনীয় কিছুর সুপ্ত আশা তাই থাকছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দলের অভিষেক ম্যাচে এই সংস্করণে বাংলাদেশের ১১তম অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের।
সাকিবের ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খক্ষ নেমে আসায় হুট করে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পাওয়া মুমিনুল গুরুদায়িত্বটাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না, ‘আমি আক্রমণাত্মক খেলা পছন্দ করি। অধিনায়ক হিসেবেও আক্রমণাত্মক হতে চাই।
এতে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে। নেতৃত্ব আমার জন্য কোনো চাপ নয়। এটা বরং দারুণ সুযোগ। ইতিবাচক থেকে দল ও দেশের জন্য কিছু করতে চাই।’
অধিনায়ক আক্রমণের মন্ত্র জপলেও তার আস্তিনে তেমন কোনো মারণাস্ত্র নেই। বোলিংয়ে ভরসা বলতে দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ইন্দোরের পেস সহায়ক স্পোর্টিং উইকেটে স্পিনারদের কাজটা মোটেও সহজ হবে না।
অন্যদিকে ভারতের তিন পেসার মোহাম্মদ সামি, উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মা আছেন আগুনে ফর্মে। দুই স্পিনার অশ্বিন ও জাদেজাও গড়ে দিতে পারেন ব্যবধান। ভারতের ব্যাটিং ইউনিটও বিশ্বসেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও মায়াংক আগরওয়ালই করেছেন ৮৬৯ রান! এরপর আছেন কোহলি ও রাহানে।
সেখানে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে তরুণ সাদমান ইসলামের সঙ্গী হতে পারেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাইফ হাসান। ব্যাটিংয়ে তবু মুমিনুল, মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লাহ আছে, কিন্তু পেস আক্রমণে ভরসা করার মতো একজনও নেই।
অনেকদিন ধরেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন দলের তথাকথিত সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কোহলি কাল মোস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসালেও ইন্দোর টেস্টে একাদশে তার জায়গা হবে কি না সেটি নিয়েই আছে সংশয়।
কোহলি অবশ্য দল হিসেবেই বাংলাদেশেকে সমীহ করছেন, ‘ওরা একই ধরনের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত। ওরা জানে কী করতে হবে। ফল পেতে আমাদের অবশ্যই ভালো খেলতে হবে। বাংলাদেশের কোনো বোলার বা ব্যাটসম্যানকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। যখন ওরা ভালো খেলে তখন খুব চৌকশ দল হয়ে ওঠে। ওদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। একই সঙ্গে নিজেদের ওপরও পূর্ণ আস্থা আছে।’

Jugantor