Thursday, February 27, 2020

শচীন বড় ক্রিকেটার, কিন্তু বাচ্চাদের কিছু শেখায় না: ইনজামাম

শচীন বড় ক্রিকেটার, কিন্তু বাচ্চাদের কিছু শেখায় না: ইনজামাম
পাকিস্তানের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হক বলেছেন, তিনি বোলার শচীন টেন্ডুলকার কে সমীহ করতেন। ইনজি বলেন, ''আর কোনও বোলারের গুগলি খেলতে আমার তেমন সমস্যা হত না। কিন্তু শচীনের গুগলি খেলতে গিয়ে আমি অনেকবার আউট হয়েছি। সবাই ওকে বড় ব্যাটসম্য়ান হিসাবে মনে রাখবে। তবে আমি বলব, শচীন বোলার হিসেবেও দারুন। কখনও ও মিডিয়াম পেসার। কখনও আবার লেগ স্পিনার।''
শচীন টেন্ডুলকারকে নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি অনুষ্ঠান করেছেন ইনজি। সেখানেই শচীনকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন ইনজামাম। পুরনো কথা বলতে গিয়ে ইনজি বলছিলেন, ''১৬ বছর বয়স থেকে বিশ্বের দক্ষ বোলারদের সামলেছে শচীন। ডেবিউ সিরিজের একটি ম্য়াচে মুস্তাক আহমেদকে ছক্কা মারে শচীন। তার পরই আবদুল কাদির শচীনের কাছে গিয়ে বলেছিল, ওকে বাচ্চা পেয়ে মারছো। আমাকে মেরে দেখাও দেখি! কাদিরকে মুখে কোনও জবাব দেয়নি শচীন, ঠিক পরের ওভারে কাদিরকে চারটি বাউন্ডারি মেরেছিল। আমার কাছে শচীন গ্রেট ক্রিকেটার।''
শচীনের ব্যাপারে একটি অভিযোগ রয়েছে তাঁর। ইনজি বলেছেন, ''যোগ্যতা ও প্রতিভার কথা উঠলে শচীনের ধারে কাছে কেউ নেই। তবে বাচ্চাদের ক্রিকেট শেখানো উচিত ছিল ওর। ক্রিকেট ছাড়ার পর শচীন একেবারে আলাদা হয়ে গেল। বাচ্চাদের ও আর কিছু শেখায়নি। এটা শচীনের মতো মহান ক্রিকেটারের কাছে আশা করা যায় না। আমার মনে হয়, এখনও সময় আছে। শচীনের এই ব্যাপারে ভাবা উচিত।''
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

Friday, February 21, 2020

সড়ক দুর্ঘটনায় জাতীয় হ্যান্ডবল দলের গোলরক্ষক সোহান নিহত

বয়স মাত্র একুশ বছর। ছিলেন দারুণ সম্ভাবনাময়। নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়া সবশেষ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসেও (এসএ) খেলেছেন। কিন্তু মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হ্যান্ডবল দলের গোলরক্ষক সোহানুর রহমান সোহানের প্রাণ।
কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল ও স্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় হ্যান্ডবল দলের গোলরক্ষক সোহানসহ আরও একজন। আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে দৌলতপুরের হোসেনাবাদ সেন্টার মোড়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত আরেকজন হলেন হৃদয় খান জয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুজ্জামান জানান, সোহান ও জয় মোটরসাইকেলে চড়ে স্থানীয় একটি বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল নয়টার দিকে তারা হোসেনাবাদ সেন্টার মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নসিমন গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দূরপাল্লার বাসকে অতিক্রম করতে যাচ্ছিলেন সোহান। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুর পিকআপের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের নিয়ে আসা হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে। হাসপাতালে মারা যান জয়। আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য চিকিৎসকেরা সোহানকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু ঢাকায় আনার পথে মারা যান সোহান।
গত ছয় বছর বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলেছেন সোহানুর। গত ডিসেম্বরে নেপালে হওয়া এসএ গেমসের বাংলাদেশ দলের প্রধান গোলরক্ষক ছিলেন সোহান। খেলেছেন পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক যুব হ্যান্ডবল ট্রফিতে।

Thursday, February 13, 2020

কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরে আন্তর্জাতিকমানের আরো তিনটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে



 






যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরে আন্তর্জাতিকমানের আরো তিনটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে দেশে ৯টি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে বেগম আবিদা আনজুম মিতার অপর এক প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল সংসদকে আরো জানান, দেশের ৪৯১টি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি নির্মাণ করা হয়েছে এবং ১৬৭টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া  হয়ে থাকে।
সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে মোট ২৯৭টি ক্রীড়া স্থাপনা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণ পরিচালনার সুযোগ -সুবিধা দেয়া হয়।

রংপুরে আকবরকে বীরের সংবর্ধনা

Wednesday, February 12, 2020

বিশ্বকাপ নিয়ে ফিরলেন যুবারা

গত ৩ জানুয়ারি অনেকটা নীরবে দেশ ছেড়েছিল আকবর আলীর দল। ফেরার পালায় চিত্রটা পুরো ভিন্ন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন, বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে তাদের ফেরার দিনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে ভক্ত-সমর্থকদের ঢল।
বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে দলকে বহনকারী বিমানটি। এখান থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যাবে বিশ্বজয়ীরা। তাদের বরণ করতে নতুন সাজে সেজেছে ‘হোম অব ক্রিকেট’।
লাল-সবুজে সাজানো একটি বাস দিয়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে যাবেন ক্রিকেটাররা। সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বিসিবির আয়োজনে নৈশভোজে যোগ দেবেন তারা।
বিশ্বকাপের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পচেফস্ট্রুমে এক সপ্তাহের ক্যাম্প করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না; নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল ১১২ রানে গুটিয়ে গিয়ে হারতে হয়েছিল। দ্রুত নিজেদের সামলে নিয়ে মূল টুর্নামেন্টে উজ্জ্বীবিত ক্রিকেট খেলে তানজিম হাসান-রকিবুল হাসানরা।গ্রুপ পর্বে নিজেদের মেলে ধরে চূড়ায় থেকে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। পরে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে জেতে শিরোপা; যে কোনো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা।
ফাইনালের পরদিন আইসিসির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। এবার বিশ্ব জয়ের মুকুট পরে ফিরল দেশে। সময়টা উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠার

Sunday, February 9, 2020

ছোটদের জয়ে বড়দের উচ্ছ্বাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মাশরাফি-আশরাফুল-আফতাবরা পারেননি, পারেননি মুশফিক-সাকিবরাও। ঘরের মাঠে সম্ভাবনা জাগিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মিরাজ-শান্ত-সাইফউদ্দিনরাও। তবে দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘোচাতে পারলেন আকবর-শরিফুলরা। বাংলাদেশ এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। হোক না অনূর্ধ্ব- ১৯ দলের বিশ্বকাপ। আর তরুণ টাইগারদের বিশ্ব জয়ে উচ্ছ্বাস বইছে সারা বাংলাদেশে। পূর্বসূরিরাও উচ্ছ্বাস গোপন করেননি। সামাজিক মাধ্যমে ছোটদের অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দে সামিল হয়েছে তারাও।
আর উচ্ছ্বাসটা আরও বেড়ে গেছে ভারতকে হারানোয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ভারত যেন অধরা হয়ে উঠেছিল। এই তরুণরাই গত বছর ইংল্যান্ডে গ্রুপ পর্বে দুইবার হারিয়ে ফাইনালে গিয়ে হেরে যায়। এর আগে বড়রা বেশ কয়েকবারই আক্ষেপ নিয়ে ঘরে ফিরেছে। আর এ টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়নও ভারত। এমন দিনে উচ্ছ্বাসতা একটু বাড়তি তো হবেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে অসাধ্য সাধন করে বাংলাদেশের যুবারা। রোমাঞ্চ ছড়ানোর এ ম্যাচে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল তরুণ টাইগাররা। মাঝে খেই হারিয়েছিল। তবে ভেঙে পড়েনি। অধিনায়ক আকবরের অসাধারণ ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে দারুণ জয় টাইগারদের। তাই তরুণ এ অধিনায়কে মজেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ব্যক্তিগত ফেইসবুক প্রোফাইলে মাশরাফি লিখেছেন, 'অভিনন্দন বাংলাদেশ। বিশেষ করে আমাদের শহরের অভিষেক দাস, রকিবুল, শরিফুল, ইমনকে এবং দলের সকল খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফকে। আকবর তুমি সুন্দর। জানো কীভাবে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কতো বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য কি অসাধারণ মুহূর্ত।'
'আরও অনেক পথ যেতে হবে ছেলেরা। আশা করি তোমরা ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু অর্জন করে আনবে। এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করো। উপভোগ করো মিস্টার ক্যাপ্টেন আকবর। অভিনন্দন বাংলাদেশ।' - যোগ করে আরও লিখেছেন টাইগার অধিনায়ক।
পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহও অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি, 'কি অসাধারণ মুহূর্ত! বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন! তোমাদের নিয়ে গর্বিত ছেলেরা। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে শুভেচ্ছা!'
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওপেনার তামিক ইকবালও, 'আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২০২০ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অনেক অভিনন্দন। তোমারা আমাদের পুরো দেশকে গর্বিত করেছ।'
আর তরুণদের এ জয়ে যেন নিজেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি পাচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, ‘কোন সংশয় ছাড়াই এখন বলতে পারি, বাংলাদেশের ক্রিকেটার হওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এতটা গর্ব কখনই অনুভব করিনি। অভিনন্দন সুপারস্টার্স!’

এত চাপ একদম গায়ে মাখেননি আকবর

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অধিনায়ক আকবর আলি যখন ব্যাট করতে নামেন, হুট করেই দল তখন চাপে। ৬২ রানে পড়েছে ৩ উইকেট, আর ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন বেরিয়ে গেছেন চোট পেয়ে। খানিক পরই পড়ে যায় আরও ৩ উইকেট। ১০২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে চরম শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বপ্ন। এমন পরিস্থিতিতে আকবর থাকলেন ঠান্ডা মেজাজে, সামলালেন স্নায়ুচাপ, পড়লেন পরিস্থিতি, গড়লেন জুটি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেই মাঠ ছাড়লেন তিনি। ম্যাচ সেরা হয়ে জানালেন, চরম বিপর্যয়ে কেমন ভাবনা চলছিল তার মাথায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে ডি/এল মেথডে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। দেশের ক্রীড়া সাফল্যের ইতিহাসে আকবররা উঠে গেছেন চূড়ায়।
৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৭ বলে ম্যাচ জেতানো ৪৩ রান করেন আকবর। শামিম হোসেনের সঙ্গে ২০, অভিষেক দাসের সঙ্গে ১৭, চোট কাটিয়ে আবার নামা পারভেজের সঙ্গে ৪১ ও রকিবুলের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের মহামূল্যবান চারটি জুটি গড়েন তিনি। প্রতিটি জুটিতেই দেখা গেছে, নিজে এক দিক আগলে রেখে সতীর্থদের দিয়ে খেলা বের করতে চেয়েছেন তিনি।
পারভেজের বিদায়ে ১৪৩ রানে পড়ে যায় ৭ উইকেট, জিততে বাকি তখনো ৩৫ রান। আবার জমেছিল শঙ্কার মেঘ। আকবর বেশ খানিকটা সময় রান নেননি, উইকেট বাঁচিয়ে পরিস্থিতি করেন শীতল। রকিবুলকে থিতু করিয়ে পরে রান বাড়িয়ে যান অনায়াসে।
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, পুরো পরিস্থিতি ছিল তার নিয়ন্ত্রণে, ভোগেননি স্নায়ুচাপে, ‘আমি ব্যাট করতে নামলাম, আমাদের জুটি দরকার ছিল। আমি আমার সঙ্গীদের বলেছি, আমাদের উইকেট হারানো চলবে না। পরিকল্পনা ছিল সহজ। আমরা জানতাম, ভারত সহজে হাল ছাড়বে না। তারা চ্যালেঞ্জিং দল। আমরা জানতাম, এটা ভিন্নরকমের তাড়া হবে। আমি চেয়েছি সব স্বাভাবিক রাখতে। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে খুব একটা ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি, আমি আজ (রবিবার) বড় কিছু করতে চেয়েছি।’

আনন্দ বাজারের খবর -তরুণ টাইগারদের বিশ্বকাপ জয়ে বাংলাদেশ জুড়ে বাঁধভাঙা উল্লাস Bangladesh


Bangladesh


সকাল থেকেই অপেক্ষা। কাজ থাকলেও তা আটকে রাখা আগামিকালের জন্য। কারণ একটাই— মাঠে মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী। দ্বৈরথ দক্ষিণ আফ্রিকায়, কিন্তু উত্তেজনায় ফুটছে গোটা বাংলাদেশ। শহর জুড়ে শীতের তীব্রতা কিছুটা এখনও রয়েছে। কিন্তু, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের তাপে সেই শীত যেন কমে গিয়েছে বাংলাদেশে।
সকালে কিছুটা ভিড় থাকলেও দুপুরে ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই ঢাকার রাস্তাঘাট হঠাৎ করেই অনেকটা ফাঁকা হতে শুরু করে। সকলের চিন্তা, কী ভাবে আরও দ্রুত ঘরে ফেরা যায়। কারণ একটাই, এই প্রথম ইতিহাস ছুঁয়েছেন জুনিয়র টাইগাররা। পুরনো ঢাকা থেকে গুলশন অথবা বৌবাজার, সকলেই আজ খেলা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। অন্য, দিকে যাঁরা আটকে গিয়েছেন রাস্তায়, ফিরতে পারেননি গন্তব্যে, তাঁদের জটলা শহরের বিভিন্ন টেলিভিশন সেট বিক্রির দোকানের সামনে। কাঁচের ও পার এ পারে সমান উল্লাস আর স্নায়ুচাপ ভাগ করে নেওয়া। মানুষের জটলা হবে নাই বা কেন? সকলেরই এক কথা, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বনাম ভারতের ফাইনাল ম্যাচ দেখতেই হবে।

কারওয়ান বাজারে এমন এক জটলায় মধ্যেই কথা হল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনিসের সঙ্গে। তাঁর সটান যুক্তি, “ভাই, ঘরে পরে ফেরা যাবে। একটা বলও মিস করতে রাজি নই।” বাংলাদেশ শীর্ষ একটি টেলিভিশনের সংবাদকর্মী ইসমাইল হোসেইন জুয়েলের কাজের সময় শেষ হলেও নড়েননি অফিসের চেয়ার ছেড়ে। তাঁরও সটান কথা, “এখন পথে এক মিনিট কাটানো মানে একটা বল দেখা মিস করা। এই ব্যাট-বলের ইতিহাসের একটুও না দেখে থাকতে চাই না।” ম্যাচ শেষে চেয়ার ছাড়ার সময়ে তাঁর কথা, ‘টিমটা জুনিয়র, কিন্তু আসরটা তো বিশ্বকাপ। এই উচ্ছ্বাস বলে বোঝানো যাবে না। ঘরে বিশ্বকাপ এসেছে, তাকে বরণ করতে অফিসসের সহকর্মীদের সঙ্গেই ঐতিহাসিক আনন্দটা ভাগাভাগি করছি।”

ঢাকা-সহ সারা দেশের চায়ের দোকানে বেড়েছে বিক্রিবাটার ধুম। দোকানের টেলিভিশন সেটে চলছে ব্যাট-বলের যুদ্ধ, আর আলোচনা-সমালোচনায় চায়ের কাপে উঠছে ঝড়। সে কারণেই শ্যামলী এলাকার চা দোকানি আকবর বললেন, “ আজ লাভলোকসানের হিসাব রাখছি না, বাংলাদেশ ভাল খেলছে, দেশ জিতলে সেটাই তো বড়, সবাই আমার এখানে খেলা দেখছেন। এতেই আমার আনন্দ।”

এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ। বিশাল পর্দায় খেলা চলছে। সঙ্গে চলছে স্লোগান। সেই আনন্দ বাঁধ ভাঙল বিজয়ের মূহূর্তে। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখর তারুণ্যের চোখে এক ইতিহাস জয়ের আনন্দ। সেই আনন্দের বাঁধভাঙা জোয়ারে যোগ দিয়েছেন বয়স্ক নাগরিকেরাও।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের তরুণ টিমের ইতিহাস গড়ার দিনে তাদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো  হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন এই খেলোয়াড়ি মনোভাব ধরে রেখে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে।”
ঢাকা এখন আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের শহর। পাড়ার গলি থেকে শহরের প্রধান রাস্তাগুলোতে মানুষের বিজয় মিছিল। এমন মিছিলে হাঁটা এক তরুণ ঋদ্ধ অনিন্দ্য আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমরা জানান দিয়ে রাখলাম, ভবিষ্যতে বড়দের বিশ্বকাপও আমরা ঘরে আনবই। আর সেই দিন বেশি দূরে নেই।”

এক দিকে শহর জুড়ে যখন উৎসবের আমেজ, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক দল তরুণের কণ্ঠে সমবেত সঙ্গীত— ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ/ খুশির হাওয়া ঐ উড়ছে/ বাংলার ঘরে ঘরে/ মুক্তির আলো ঐ ঝরছে’। এই গানটিই স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় মুহূর্তে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত শেষ গান। আজ বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর ছুঁতে চলেছে, তখন বিশ্বকাপ হাতে সে দেশের যুব নাগরিকের কণ্ঠে গানটি যেন এক নতুন মাত্রা পেল।











বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ে টিএসসিতে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ে টিএসসিতে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
ছবি: যুগান্তর
ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে জুনিয়র টাইগারদের প্রথম বারের মতো আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতেছে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। এই জয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) জয়উৎসব চলছে।
রোববার আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল উপলক্ষ্যে টিএসসিতে বড়পর্দায় খেলা দেখার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ফলে এ দিন দুপুর থেকেই টাইগার ভক্তদের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় সমগ্র টিএসসি এলাকা। আর বাংলাদেশের জুবাদের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে জড় হতে থাকেন টিএসসি প্রঙ্গনে। কেউ বাঁশি বাজিয়ে, কেউ বাইকে করে শো-ডাউন দিয়ে অংশগ্রহন করেন বিজয় উৎসবে। যাতে বাঁধা হয়ে দাড়ায়নি কোন বয়স, শ্রেণি কিংবা পেশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র মুঈন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমরা আজকে অনেক খুশি, কারণ আমরা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছি। এ ধরনের জয় আমাদের ক্রিকেটের ভবিষতের জন্য সুবার্তা বহন করে এবং আমরা আশা করি তাদের এই জয়ের ধারা অব্যহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আহসান প্রামানিক বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল জয়ের মাধ্যমে আমাদের জুবারা প্রমাণ করেছে ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ এখন আর কোন অঘটনের নাম নয়। বরং তারা ভালো ক্রিকেট খেলে সব বাধা অতিক্রম করতে পারে। আমরা আশা করি জুবাদের মতো আমাদের সিনিয়র টিমও তাদের জয়ের ধারায় ফিরে আসবে।

Jugantor

আমি ভবিষ্যতে ক্রিকেটে আরও ভালো অবদান রাখতে চাই: আকবর আলী

আকবর আলী
বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলী বলেন, আমি ভবিষ্যতে ক্রিকেটে আরও ভালো অবদান রাখতে চাই।
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ফাইনালে জয়ের পর ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ দলের জয়ের নায়ক অধিনায়ক আকবর আলী বলেন, হঠাৎ অনেকগুলো উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমাদের প্রয়োজন ছিল জাস্ট একটা জুটির। তাই পরিকল্পনা ছিল আমাদের একটা জুটি গড়ার। আমি আমার পার্টনারদের এ বিষয়টাই বলেছি। আমরা শুধু স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোচিং স্টাফ অনেক কষ্ট করেছে। আমাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোচরা আমাদের খুবই উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার টার্গেট বছর দেড়েকের মধ্যে আরও ভালো কিছু করার। আমি ভবিষ্যত ক্রিকেটে আরও ভালো অবদান রাখতে চাই।
শেষ দিকে ধারাভাষ্যকারের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশি দর্শকদের উদ্দেশে বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেন। বাংলাদেশের অগণিত দর্শকদের উদ্দেশে বাংলায় আকবর আলী বলেন, আমি দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সঙ্গে ছিলেন।

Jugantor

বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন রাজা বাংলাদেশ।

 
অচেনা অজানা সব নাম-করে দেখালো বিশ্বজয়।
অধিনায়ক আকবর আলি ১৭ কোটি বাঙ্গালীর দায়িত্ব একাই কাঁধে নিয়ে দেখিয়ে দিলো বিশ্বকে “ ক্রিকেট বাংলাদেশ এখন কতটা পরিনত ।

বোলিংয়ে ছিল আগুন, ফিল্ডিংয়ে বারুদ। লক্ষ্যটা ছিল নাগালে। ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুর পর ছোট-খাটো এক ধসে ম্যাচ হাত থেকে ছুটতে বসেছিল। তবে ছিল খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা। এই লড়াকু মানসিকতার সঙ্গে পেরে ওঠেনি ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তাদের হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।

পচেফস্ট্রুমে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৭৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১তম ওভার শেষে বৃষ্টি নামে। সে সময় তাদের স্কোর ছিল ১৬৩/৭। আবার খেলা শুরু হলে নতুন লক্ষ্য পায় ৪৬ ওভারে ১৭০। সাত বলের মধ্যে ছুঁয়ে ফেলে লক্ষ্য।

জয়ের কাছে গিয়ে হারের স্মৃতি কম নেই বাংলাদেশের। সিনিয়র ক্রিকেটে একের পর এক ফাইনালে হার দেখেছে বাংলাদেশ। যুব ক্রিকেটেও হয়েছে তীরে এসে তরী ডোবার অভিজ্ঞতা। সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ জয়ের দুয়ারে গিয়ে হেরেছে ভারতের কাছে।

এবার কোনো ভুল করেনি বাংলাদেশ। ঠাণ্ডা মাথায় দলকে বন্দরে নিয়ে গেছেন আকবর আলি। পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ও রকিবুল হাসানের দারুণ সহায়তা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের আগুনে বোলিংয়ের সামনে পড়ে ভারত। শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান শুরু করেন মেডেন দিয়ে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের খেলান একের পর এক ডট বল।

দিনের শেষটা যেমন বাংলাদেশের, শুরুটাও তাদেরই। কন্ডিশনে পেসারদের জন্য সুবিধা বুঝতে পেরে একাদশে একটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। হাসান মুরাদের জায়গায় একাদশে ফেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার অভিষেক দাস আক্রমণে এসেই দলকে এনে দেন ‘ব্রেক থ্রু’। পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন দিব্যানশ সাক্সেনা।

চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় শুরুর কঠিন সময়টা পার করে দেন জয়সাওয়াল ও তিলক ভার্মা। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ধীরে ধীরে রানের গতি। তবে থিতু হওয়ার পরও তাদের ডানা মেলতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। নিখুঁত লাইন লেংথে বল করে বারবরই ধরে রেখেছিলেন চাপটা।

দলের রান তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর ভাঙে ভারতের প্রতিরোধ। তানজিমের বলে সীমানায় ভার্মার চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় জমার শরিফুল। ভাঙে ৯৪ রানের জুটি।

এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ভারত। দলটি সবশেষ ৯ উইকেট হারায় ৭৪ রানে; ২১ রানে শেষ সাতটি।

প্রিয়ম গার্গকে দ্রুত থামান রকিবুল হাসান। ভারতের শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। শেষ আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যাওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যান ধ্রুব জুরেল ফিরেন রান আউট হয়ে।

এক প্রান্ত আগলে রাখা জয়সাওয়ালের সঙ্গে শুরু থেকে জমে উঠেছিল শরিফুলের দ্বৈরথ। বাঁহাতি বোলারের দারুণ কিছু ডেলিভারি একটুর জন্য ভারতীয় ওপেনারের ব্যাটের কানা নেয়নি। শেষ হাসি হাসিন শরিফুলই। থামান জয়সাওয়ালের পথ চলা।

১২১ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ১২১ রান করে ফিরেন জয়সাওয়াল। তার বিদায়ের পর বেশিদূর এগোয়নি ভারতের ইনিংস।

৪০ রানে ৩ উইকেট নেন অভিষেক। দারুণ বোলিংয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানজিম ও শরিফুল।

তানজিম হাসান ও পারভেজের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। বাজে বল কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান তোলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

বিষ্ণুইকে ছক্কা হাঁকানোর পর একই চেষ্টা করতে গিয়ে তানজিদের বিদায় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের দিক হারানোর। লেগ স্পিনারের ছোবলে বিনা উইকেটে ৫০ থেকে ৬৫ পর্যন্ত যেতে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

একের পর এক গুগলিতে মাহমুদুল হাসান, তৌহিদ হৃদয়কে ফিরিয়ে দেন বিষ্ণুই। স্টাম্পড হয়ে ফিরেন শাহাদাত। কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ক্র্যাম্পের জন্য দলীয় ৬২ রানে মাঠ ছাড়েন পারভেজ।

অধিনায়কের সঙ্গে জমে উঠছিল একটা জুটি। বাজে এক শটে শামীম হোসেন ফিরে গেলে বিপদ আরও বাড়ে বাংলাদেশের। এক ওভারে দুইবার জীবন পাওয়ার পর সেই ওভারেই ফিরেন অভিষেক।

১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরান পারভেজ ও আকবর। খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে অধিনায়ককে সঙ্গ দেওয়া পারভেজ খেলে দেন বিপজ্জনক বিষ্ণুইয়ের দুটি ওভার।

অনিয়িমিত লেগ স্পিনার জয়সাওয়ালের বলে পারভেজ ক্যাচ দিলে ভাঙে ৪১ রানের জুটি। ৭৯ বলে ৭ চারে ৪৭ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার।

রকিবুলকে নিয়ে বাকি পথটুকু পাড়ি দেন আকবর। টুর্নামেন্টে এর আগে খুব একটা ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন হয়নি অধিনায়কের। যখন প্রয়োজন হলো লড়াই করলেন বুক চিতিয়ে। হারের মুখ থেকে দলকে নিয়ে গেলেন বিজয়ের মঞ্চে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ (জয়সাওয়াল ৮৮, সাক্সেনা ২, ভার্মা ৩৮, গার্গ ৭, জুরেল ২২, বীর ০, আনকোলেকার ৩, বিষ্ণুই ২, সুশান্ত ৩, তিয়াগি ০, আকাশ ১*; শরিফুল ১০-১-৩১-২, তানজিম ৮.২-২-২৮-২, অভিষেক ৯-০-৪০-৩, শামীম ৬-০-৩৬-০, রকিবুল ১০-১-২৯-১, হৃদয় ৪-০-১২-০)

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: (লক্ষ্য ৪৬ ওভারে ১৭০) ৪২.১ ওভারে ১৭০/৭ (পারভেজ ৪৭, তানজিদ ১৭, মাহমুদুল ৮, হৃদয় ০, শাহাদাত ১, আকবর ৪৩*, শামীম ৭, অভিষেক ৫, রকিবুল ৯*; কার্তিক ১০-২-৩৩-০, সুশান্ত ৭-০-২৫-২, আকাশ ৮-১-৩৩-০, বিষ্ণুই ১০-৩-৩০-৪, আনকোলেকার ৪.১-০-২২-০, জয়সওয়াল ৩-০-১৫-১)

ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী
ট্যাগ :
ভারত
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট
বাংলাদেশ


ক্রিকেটের আরও খবর
  https://ranabhuiyan.com/বিশ্ব-ক্রিকেটের-নতুন-রাজ/(opens in a new tab)

Friday, February 7, 2020

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে প্রথম দিনেই অলআউট বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-পাকিস্তান
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পুরো একদিনও ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। টেস্টের একদিনে নিয়মানুসারে ৯০ ওভার খেলা হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৭.১ ওভার আগেই অলআউট মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি। মোহাম্মদ মিঠুনের ৬৩ আর তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
শুক্রবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে পাকিস্তানের মাঠে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন জাতীয় দলের এ তরুণ ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান নাজমুল হোসেন। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১১০ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর মাত্র ৬৬ রানের ব্যবধানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন কুমার দাস। তাদের বিদায়ে ১৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৫৫.৩ ওভারে ১৬১ রানে ৬ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন মিঠুন। সপ্তম উইকেটে ২৩.২ ওভার খেলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তারা। প্রথম দিনের খেলা শেষ হতে তখন আর মাত্র বাকি ছিল ১১.১ ওভার।
খেলার এমন অবস্থায় দলীয় ২১৪ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল ইসলাম। হারিস সোহেলের বলে মিড-অপে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৭২ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন তিনি।
তাইজুলের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে থিতু হতে পারেননি পেসার রুবেল হোসেন। দলীয় ২২৯ রানে ফেরেন তিনি। এরপর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাওয়া মিঠুন নাসিম শাহর বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজোয়ানের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ২৩৩ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ১৪০ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে ফেরেন মিঠুন।
এরপর মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে রান আউট হন পেসার আবু জায়েদ রাহী। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ রানে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩/১০ (মিঠুন ৬৩, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, লিটন ৩৩, মাহমুদউল্লাহ ২৫, তাইজুল ২৪, তামিম ৩, রুবেল ১; শাহিন ৪/৫৩)।

Thursday, February 6, 2020

ক্রিকেট বাংলাদেশঃ তৃতীয় প্রজন্মের হাতে বিশ্ব ক্রিকেট-

বাংলাদেশ


আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আমিনুল ইসলাম বুলবুল , আতাহার আলী খান, নাইমূর রহমান দূর্জয় , হাবিবুল বাসার প্রমূখদের ফাষ্ট জেনারেশন , মাশরাফী বিন মূর্তজা, সাকিব আল হাসান , মুশফিকুর রহিম প্রমুখদের সেকেন্ড জেনারেশন এবং আজকের যারা বিশ্ব যুব ক্রিকেটে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছে- তঁরা সকলেই ক্রিকেট বাংলাদেশের থার্ড জেনারেশন। ফাষ্ট জেনারেশনের হাতে খড়ি, সেকেন্ড জেনারেশনের হাতে ব্যবধান কমিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে জানান দেওয়া, থার্ড জেনারেশনের হাতেই আজ বিশ্ব ক্রিকেটের চালিকার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
এখন প্রয়োজন বিশ্ব যুব ক্রিকেট জয় করা।
আজকে খেলায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একবারের জন্যও মনে হয়নি বাংলাদেশ হারবে। প্রতিটি সেক্টরে ভাল করে জয় হাতে তুলে নিয়েছেন। অভিনন্দন যুব ক্রিকেটারদের। ওদের যাত্রা শুভ হোক।
নূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাহমুদুল হাসান জয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার পচেফস্ট্রমে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের যুবারা।
মাহমুদুল হাসান জয় ১২৭ বলে ১০০ রান করেন। তার ইনিংসটি ছিল ১৩টি চারে সাজানো। এছাড়া তাওহীদ হৃদয় ও শাহাদত হোসাইন দুজনই ব্যক্তিগত ৪০ রানের দুটো ঝলমলে ইনিংস উপহার দিয়ে জয়ে ভূমিকা রাখেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান সংগ্রহ করে কিউই যুবারা। এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট পেলেন তারা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সেমিতে খেলছেন লাল-সবুজ যুবারা। এর আগে ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলেন তারা।
এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। সূচনালগ্নেই রাইস মারিউকে ফিরিয়ে দেন শামীম হোসেন।ওয়ানডাউনে নেমে ফার্গাস লেলম্যানকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন ওলি হোয়াইট। তবে সেই যাত্রায় হোঁচট খান তিনিই। রাকিবুল হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
পরে নিকোলাস লিডস্টোনকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন লেলম্যান। কিন্তু তাতে বাদ সাধেন শামীম। দলীয় ৫৯ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এ পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক জেসে তাসকফ। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। হাসান মুরাদের বলির পাঁঠা হয়ে দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন ক্যাপ্টেন।
মাঝপথে ইনিংস মজবুত করতে চেষ্টা করেন নিকোলাস লিডস্টোন ও বেকহ্যাম হুইলার-গ্রিনাল। একপর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। ফলে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু হঠাৎ পথ হারান লিডস্টোন। শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৪৪ রানের সংগ্রামী ইনিংস খেলেন এ মিডলঅর্ডার। তাতে ভাঙে ৬৭ রানের জুটি।
পরক্ষণেই দ্রুত ফিরে যান কুইন সানডে। তাকে ফিনিশ করেন মুরাদ। সেই রেশ না কাটতেই ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ককে বিদায় করেন শরিফুল। ফলে ফের বিপর্যয়ে পড়েন কিউইরা। ধারাবাহিক বিরতিতে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন জোয়েই ফিল্ড। তাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান শরিফুল।
তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন হুইলার-গ্রিনাল। বিপর্যয়ের ওপর দাঁড়িয়ে ব্যাটে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটান তিনি। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান করে তারা। গ্রিনাল খেলেন ৮৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল। ২টি করে উইকেট নেন মুরাদ-শামীম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব বেশি ভালো করেনি বাংলাদেশ। দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় লাল-সবুজের দল। ক্লার্কের বলে ফিরে যান তানজিদ হাসান। এরপর টিকেননি পারভেজ হাসান ইমনও। ৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর তৌহিদকে নিয়ে হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান। দুজন মিলে দলকে নিয়ে যান একশ রানের ঘরে। তবে ঠিক ১০০ রানের মাথায় আউট হন তৌহিদ। ফেরার আগে ৪৭ বলে ৪০ রান করেন তিনি।
এর পরও দায়িত্বের সঙ্গে খেলে যান মাহমুদুল। ১২৬ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শতরান স্পর্শ করার পরের বলে অবশ্য আউট হয়ে যান মাহমুদুল। ততক্ষণে দল পৌঁছে যায় জয়ে কাছে। বাকি কাজ সারেন শাহাদাত। তার ব্যাটেই ৩৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের যুবারা।
নিউজিল্যান্ড : ২১১/৮ (৫০ ওভার), [মারিও ১, হোয়াইট ১৮, লিলম্যান ২৪, লিডস্টোন ৪৪, টাসকফ ১০, গ্রিননেইল ৭৫, কুইনিন ১, ক্লার্ক ৭, জো ফিল্ড ১২, অশোক ৫; শরিফুল ১০-২-৪৫-৩, শামীম ৬-১-৩১-২, রাকিবুল ১০-৩-৩৫-১, সাকিব ১০-১-৪৪-০, হাসান ১০-১-৩৪-২]
বাংলাদেশ : ২১৫/৪ (৪৪.১ ওভার), [পারভেজ ১৪, তানজিদ ৩, মাহমুদুল ১০০, তৌহিদ ৪০, শাহাদাত ৪০, শামীম ৫; জো ৬-০-২৮-০, ক্লার্ক ৯-০- ৩৭-১, অশোক ১০-০-৪৪-১, টাসকফ ১০-০-৫৭-১, হ্যানকক ৭-০-৩১-১]
ফল : ৬ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ

আরও খবর পড়ুন
http://ranabhuiyan.com/

Sunday, February 2, 2020

ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ইতিহাসে তামিম