Saturday, January 25, 2020

শতভাগ নিম্নমানের উইকেট বানিয়েছে পাকিস্তান: শোয়েব

অনলাইন ডেস্ক

শতভাগ নিম্নমানের উইকেট বানিয়েছে পাকিস্তান: শোয়েব
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও উইকেটের আচরণ দেখে মোটেও খুশি নন ইনজামাম উল হক থেকে পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার রমিজ রাজা ও রশিদ লতিফরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন শোয়েব আখতার। তিনি তো সরাসরি বলেই দিলেন ‘শতভাগ নিম্নমানের উইকেট বানিয়েছে পাকিস্তান’।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে উইকেট নিয়ে এমন হতাশা প্রকাশ করেছেন শোয়েব আখতার। তিনি বলেন,  ‘জিতলেও ঠিক মজা পাইনি। কারণ উইকেট বানানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি। এই ম্যাচের উইকেট শতভাগ নিম্নমানের। মানুষ বড় ইনিংস দেখতে চায়। অনেক রান দেখতে চায়। কিন্তু এখানে বোলাররা গতি পাচ্ছে না। ব্যাটসম্যানের ব্যাটে বল যাচ্ছে না। গতি, বাউন্সের বালাই নেই।’

এজন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) উইকেট নিয়ে নতুন করে ভাবার পরামর্শও দিয়েছেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই তারকা। শোয়েব আখতার বলেন, ‘১৫ বছর আগে যখন মুলতান, পেশোয়ার বা লাহোরে খেলতাম, তখনো উইকেট এমনই ছিল। উইকেটে পেস, বাউন্স কিছুই ছিল না। এখন পরিবর্তন দরকার। না হলে ক্রিকেটে দর্শকের আগ্রহ কমে যাবে।’ বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

Thursday, January 9, 2020

যত দিন যাচ্ছে, তত তরুণ হচ্ছি: গেইল


যুগান্তর
গেইল
ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এখনো এতটুকু কমেনি ক্রিস গেইলের। ২০১৯ সালের শেষদিকে ক্রিকেট থেকে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। এর পর আবার চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলতে চলে এসেছেন।
যত দিন সম্ভব খেলাটা চালিয়ে যেতে চান গেইল। বৃহস্পতিবার ঢাকায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে স্বঘোষিত ইউনিভার্স বস বলেন, অনেক মানুষ এখনো চায় গেইল খেলুক। খেলাটির প্রতি এখনো আমার ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। যত দিন সম্ভব আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই।
টি-টোয়েন্টি কিং বলেন, বিশ্বজুড়ে এখনো কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলছি আমি। কারণ, খেলাটিকে দেয়ার মতো এখনো অনেক কিছু আমার মধ্যে আছে। শারীরিকভাবে বেশ ভালো বোধ করছি। আমি নিশ্চিত, যত দিন যাচ্ছে; তত তরুণ হচ্ছি।
আগামী সেপ্টেম্বরে ৪০ বছরে পা রাখবেন গেইল। আর কতদিন খেলতে চান? জবাবে রসিকতা করে তিনি বলেন, আরো ৫ বছর খেলা চালিয়ে যেতে চাই। ৪৫ একটি ভালো সংখ্যা। হ্যাঁ, আমরা ৪৫ বছর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি। ৪৫ লক্ষ্যমাত্রা বানান, এটা একটা ভালো সংখ্যা।
২০১৪ সাল থেকে টেস্ট খেলছেন না গেইল। গেল আগস্টে নিজ মাঠ পোর্ট অব স্পেনে তিনি শেষ ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দলে ছিলেন না বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজেও ক্যারিবীয় দলে নেই গেইল। তবে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের পরিকল্পনায় আছেন তিনি। দলে জায়গা পেতে সাম্প্রতিক সময়ে নতুনদের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। তবে এ বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো স্কোয়াডে স্থান পেতে আশাবাদী এ বিগ হিটার।
গেইল বলেন, এটা খুবই ভালো হবে। দলে জায়গা পেতে সবার দরজা খোলা আছে। দেখি কি হয়। আপনাদের মতো আমাদেরও কিছু তরুণ- মেধাবী খেলোয়াড় আছে। বিষয়টি আমি নির্বাচকদের কাছ থেকে শুনতে বিকল্পগুলো খোলা রাখব।

Thursday, January 2, 2020

বৈশ্বিক ইভেন্টের আলোচনায় ঢাকায় আসছেন আইসিসির সিইও

বৈশ্বিক ইভেন্টের আলোচনায় ঢাকায় আসছেন আইসিসির সিইও

২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটের বৈশ্বিক ইভেন্টগুলো ভাগ করে নিয়েছে 'বিগ থ্রি' ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। বাকি দেশগুলো বড় কোনো ইভেন্ট ভাগে পায়নি। বঞ্চিতের তালিকার শীর্ষে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। তবে ২০২৩ সালের পরের স্লটে বাংলাদেশের ভাগ্যে বৈশ্বিক ইভেন্ট জুটেও যেতে পারে। সেটা নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) কতটা জোরালো লবিং করতে পারছে বিসিবি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিইও মানু সোহনি এ মাসেই মার্কেটিং বিভাগের প্রধানকে নিয়ে ঢাকায় আসবেন। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেট মার্কেটিং এবং ২০২৩-পরবর্তী ক্রিকেট ইভেন্টের স্লট নিয়েও কথা বলবেন তারা।

বিপিএল টি২০ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ হবে ১৭ জানুয়ারি। ওই ম্যাচ দেখার জন্য বিসিবি থেকে নিমন্ত্রণ জানানো হবে আইসিসি সিইওকে। ঢাকার ক্রিকেট মার্কেট বোঝার জন্য বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। সিইও জানান, এই সুযোগটা নিতে পারেন মানু। তবে ১৭ জানুয়ারির ফাইনাল ম্যাচে না থাকলে পরে যে কোনো দিন বাংলাদেশ সফরে আসবেন আইসিসি সিইও মানু। তার সফর নিয়ে বিসিবি সিইও বলেন, 'আইসিসির নতুন সিইও যোগ দেওয়ার পর তেমন কোনো দেশে যাননি। পর্যায়ক্রমে সদস্য দেশগুলোতে সফর করবেন সিইও। এর কারণ হলো, আইসিসি ইভেন্ট বণ্টন করা আছে ২০২৩ পর্যন্ত। এই মেয়াদ শেষ হলে নতুন টেন্ডারিংয়ে যাবে। তার আগে মার্কেট অ্যাসেসমেন্ট এবং সদস্য দেশের মতামত জানার প্রয়োজন আছে। ইভেন্ট বণ্টনেরও বিষয় আছে। এ কারণেই মূলত দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা আসবে।'

বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাজার ভালো। ঢাকার ক্রিকেট অর্থনীতি নিয়ে আগেই মূল্যায়ন করে রেখেছে আইসিসি। এ দেশের দর্শকই ক্রিকেটের বড় সম্পদ। যে কারণে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিসিবির সাবেক সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের হাত ধরেই এসেছে ইভেন্টগুলো। ২০১১ সালে ভারত, শ্রীলংকার সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে এককভাবে টি২০ বিশ্বকাপের সফল আয়োজন করেছে বিসিবি। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিন-তিনটা এশিয়া কাপ হয়েছে ঢাকায়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হয়েছে ২০১৬ সালে। টাইগারদের প্রাক-টেস্ট যুগেও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। সেদিক থেকে পরে বড় কোনো ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেলে তা যে সফলভাবে সম্পন্ন করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ইভেন্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপারই জড়িত। বিসিবি আইসিসিতে কতটা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে এবং অন্যান্য সদস্য দেশের সমর্থন আদায় করতে পারছে, তার ওপর স্লট পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভরসার জায়গা কেবল ভারত। বাস্তবতা হলো, তারাও বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট পেতে মরিয়া হয়ে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ভারত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলে বাংলাদেশের ভাগ্যে নারী আর যুব ক্রিকেটের এক-দুইটা ইভেন্ট জুটলেও জুটতে পারে। 
 
সমকাল্